হরিণ নিয়ে বিপাকে চিড়িয়াখানা

0

রংপুর বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানায় অতিরিক্ত হরিণ নিয়ে বিপাকে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। ধারণ ক্ষমতার বেশি থাকায় ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি হরিণের স্বাস্থ্যগত সমস্যা হচ্ছে। হরিণ বিক্রি করার নিয়ম থাকলেও আইনি জটিলতায় তা সম্ভব হচ্ছে না।

জানা গেছে, রংপুর চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৬২টি হরিণ রয়েছে। এসব হরিণ দুটি বেষ্টনীতে রাখা হয়েছে। গাদাগাদি করে থাকায় ঠিকমতো বিচরণ করতে পারছে না। রয়েছে খাবার সংকট। দুই বছর আগে সরকার নির্ধারিত মূল্য হিসেবে দেড় লাখ টাকায় তিনটি হরিণ বিক্রি করে কর্তৃপক্ষ। কিনেছিলেন চট্টগ্রাম জেলার চকবাজার এলাকার ব্যবসায়ী গহর সিরাজ জামিল। একটি পুরুষ ও দুটি মেয়ে হরিণ ছিল। এর পর কেউ হরিণ ক্রয় করতে আসেনি।

জানা গেছে, কয়েক বছর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে হরিণের দাম পুনর্নির্ধারণ করে দেয়। এতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত প্রাণী বিক্রি করতে পারবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এর আগে হরিণের দাম ৭০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা কমিয়ে নতুন করে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় শুধু হরিণ ও ময়ুর বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। কারণ এ দুটির লালনপালন ও রক্ষণাবেক্ষণ অপেক্ষাকৃত সহজ। আগ্রহীদের এসব প্রাণী নারী-পুরুষ জোড়া ধরেই কিনতে হবে। বন্য প্রাণী পালতে গেলে বন বিভাগের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। যাদের কাছে সেই অনুমোদনপত্র বা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট থাকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ শুধু তাদের কাছেই বিক্রি করতে পারেন। এই প্রাণীগুলো শুধু লালনপালনের জন্য দেওয়া হয়। পাচার বা খাওয়া যাবে না। সরকারি মূল্য কমানোর পর অনেকে হরিণ দেখেন; কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে কিনতে পারছেন না। বর্তমানে রংপুর চিড়িয়াখানায় ৩১ প্রজাতির ২৬০টি প্রাণী রয়েছে। সেগুলো হলো- বাঘ ও সিংহ দুটি করে, জলহস্তি ৩টি, ময়ুর ৮টি, হরিণ ৬২টি, অজগর সাপ দুটি, ইমু ৩টি, উটপাখি ১টি, বানর ৯টি, কেশওয়ারি ১টি, গাধা ৮টি, ঘোড়া ২টিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি উল্লেখযোগ্য। দেশে দুটি সরকারি চিড়িয়াখানার মধ্যে রংপুর একটি। চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. আম্বর আলী তালুকদার বলেন, প্রদর্শনের জন্য ৩২টি হরিণই যথেষ্ট। অতিরিক্ত হরিণ হওয়ায় রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাড়ছে।

তবে অনেকেই এসে হরিণ দেখে দাম শুনে যাচ্ছেন। এর পরে কেউ আসছেন না। তিনি বলেন, দুই বছর আগে তিনটি হরিণ বিক্রি করা হয়েছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here