ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় হাসি বেগম নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করেছে তার স্বামী মর্মে তার বাবা থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু পুলিশ তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। গত সোমবার তাকে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে উদ্ধার করে ফরিদপুরে নিয়ে আসা হয়।
গত ৭ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার কথা বলে সদরপুরের বাড়ী থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি।
গত ৭ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার কথা বলে শ্বশুর বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় হাসি বেগমের পিতা শেখ হাবিবুর রহমান সদরপুর থানায় একটি অভিযোদ দাখিল করেন। অভিযোগে তিনি জানান, তার মেয়েকে হত্যা করে লাশ গুম করে রেখেছে জামাতা মোতালেব শেখ। এদিকে, পাল্টা আরেকটি অভিযোগ থানায় জমা দেন হাসি বেগমের স্বামী মোতালেব শেখ। তিনি জানান, হাসি বেগম নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ ১০ লাখ টাকা নিয়ে বাবার বাড়ি পালিয়ে গেছেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ভাঙা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের নাউটানা এলাকার একটি পুকুর থেকে অর্ধগলিত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে নিখোঁজ হাসি বেগমের মা সালশা বেগম মরদহেটি হাসি বেগমের বলে শনাক্ত করে। পরে লাশটির ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়া শেষে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সদরপুর থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগের তদন্ত চলাকালে গত ২৩ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম তার মাকে ফোন করে জানায়, তিনি জীবিত আছেন। এরপর সদরপুর থানা পুলিশ সোমবার হাসি বেগমকে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে উদ্ধার করে ফরিদপুরে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদ জানান, হাসি বেগমকে ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।