স্ত্রীর পর পুলিশ কনস্টবল সোহেল রানা ও তার দুই সন্তানকে সোমবার সন্ধ্যায় জানাজা শেষে পাশাপাশি সমাহিত করা হয়েছে। গত ৩ দিনে একে একে সকলের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার নিখোঁজ সোহেল ও তার ছেলে রায়সুলের মরদেহ উদ্ধার হয়।
এর আগে শনিবার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার ও রবিবার মেয়ে মাহমুদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দেবিদ্বার থানার ওসি নয়ন মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সোহেল কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। তিনি ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে রিক্রুট হন।
সোহেলের ভগ্নিপতি ও ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে পুলিশের এএসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, ৩ টি মরদেহ নিয়ে দেবিদ্বারের এসেছি। সন্ধ্যায় জানাজা শেষে পাশাপাশি কবরে তাদের সমাহিত করা হয়। এদিকে এক সাথে চার জনের মৃত্যুর খবরে সেহেলের গ্রামের বাড়িতে ছুটে যাচ্ছেন এলাকার লোকজন। এতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে সোহেল তার স্ত্রী, দুই সন্তান ও ভাগনি মারিয়াকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের সোনারচর দ্বীপ গ্রাম দেখতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে সেটি উল্টে যায়। এ সময় মারিয়া প্রাণে বেঁচে গেলেও অপর চারজন পানিতে তলিয়ে যান।