স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফিরিয়ে দেয়ার মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া হোয়াইট হাউসের

0

ফরাসি আইনপ্রণেতা রাফায়েল গ্লুকসম্যানের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে স্বৈরশাসকদের সমর্থক হিসেবে অভিহিত করে নিউইয়র্কে অবস্থিত ঐতিহাসিক স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফেরত চেয়েছেন। মার্কিন প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এই মন্তব্যকে ‘নিম্ন-স্তরের রাজনীতি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং পাল্টা বলেছেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের জন্যই ফরাসিরা এখন জার্মান ভাষায় কথা বলছে না।’

গ্লুকসম্যানের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র যে স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে আছে, তা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ দেশটি স্বৈরশাসকদের পাশে দাঁড়াচ্ছে, গবেষকদের স্বাধীন মত প্রকাশের কারণে চাকরি থেকে বহিষ্কার করছে এবং নৈতিক অবস্থান থেকে সরে এসেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন আমেরিকানদের কাছে এটা বলতে হবে, আমাদের স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফিরিয়ে দাও। কারণ, তাঁরা স্বৈরশাসকদের পাশে দাঁড়ায়, স্বাধীনতা দাবি করায় গবেষকদের চাকরি থেকে বের করে দেয়।’

১৮৮৬ সালে ফরাসি জনগণের উপহার হিসেবে নিউইয়র্কে স্থাপিত স্ট্যাচু অব লিবার্টি এখন অপমানিত হচ্ছে বলে দাবি করেন গ্লুকসম্যান। তিনি বলেন, ‘আমরা এটা তোমাদের উপহার হিসেবে দিয়েছিলাম, কিন্তু মনে হচ্ছে তোমরা এটিকে অপমানিত করছ। তাই এটি নিজ বাড়িতে, এখানে (ফ্রান্সে) ভালো থাকবে।’

ফরাসি এই আইনপ্রণেতার বক্তব্য সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রতি ইঙ্গিত করে দেওয়া হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এখন আবারও কিয়েভকে সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে, তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাশিয়ার প্রতি নরম মনোভাব, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও অন্যান্য স্বৈরশাসকদের প্রশংসা এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে জনসমক্ষে অপমান ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

গ্লুকসম্যান আরও বলেন, যদি আমেরিকানরা ট্রাম্প প্রশাসনের কারণে চাকরি হারায় এবং তারা যদি অভিবাসন চায়, তবে ফ্রান্স তাদের স্বাগত জানাতে পারে। তিনি বলেন, ‘যদি তোমরা সেরা গবেষকদের বের করে দিতে চাও, যদি স্বাধীনচেতা মানুষদের চাকরি কেড়ে নিতে চাও—তবে আমরা তাদের স্বাগত জানাব। কারণ, তারাই যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের শীর্ষ শক্তিতে পরিণত করেছে।’

সূত্র: পলিটিকো

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here