ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আটকে রেখে বাবা-ছেলেকে নির্যাতনের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আলোচিত এ ঘটনায় আজ সোমবার দুপুরে প্রেস বিফ্রিং করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান জানান, ‘ফরিদপুরের জাহাপুর ইউনিয়নে অবস্থিত আড়ুয়াকান্দি স্কুলের শিক্ষিকা লিপি আক্তার তার স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী মাতৃহীন ইভা আক্তার টুকটুকিকে নিজের কাছে রাখতে একটি নাটকের অবতারণা করেন। সেই মতে তিনি শিশু ইভাকে দিয়ে বাবা ইয়াছিন মৃধা ও সৎ ভাই রাজন ধর্ষণ করেছে বলে কয়েকজনের কাছে জানান। কথিত ধর্ষণের সেই সূত্র ধরে স্থানীয় ৯-১০ জন যুবক গত ১৭ই মার্চ শিশুটির বাবা ইয়াছিন মৃধা ও সৎ ভাই রাজন মৃধাকে ধরে নিয়ে স্কুলের কক্ষে আটকে রেখে বেদমভাবে প্রহার করে। পরে পুলিশ ইয়াছিন মৃৃধা ও রাজনকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর শিশুটির বাবা ইয়াছিন মৃধা বাদী হয়ে মধুখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। তদন্তে নেমে পুলিশ ধর্ষণের ঘটনাটি মিথ্যা ও বাবা-ভাইকে মারধোরের ঘটনাটি স্কুল শিক্ষিকা লিপি আক্তারের সাজানো বলে জানতে পারে। পরবর্তীতে ২৫ মার্চ নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়।’
এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ এ পর্যন্ত পাঁচ জনকে আটক আটক করে। দুইজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
জানা গেছে, মধুখালীর কামারখালী ইউনিয়নের সালামতপুর গ্রামের দিনমজুর ইয়ামিন মৃধা (৪০), ছেলে রাজন (১৩) ও মেয়ে ইভা আক্তার টুকটুকিকে (৯) নিয়ে ১০ বছর আগে থেকে জাহাপুর ইউনিয়নের মাঝকান্দি এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছে। ইভা আক্তার আড়ুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। তার মা মারা গেছে বেশ কয়েক বছর আগে। সে বাবা ও সৎ ভাইয়ের সাথে থাকতো।