চাঁদপুর শহরের বিটি রোড এলাকায় ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে কোমল পানীয়র সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে ধর্ষণের মামলায় মো. রিপন প্রধানিয়া (৩৫) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার বিকেলে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এ রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের পৃথক ধারায় (৭ ধারায়) আসামিকে অপহরণের অপরাধে আরো ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা রিপন ও তার সহযোগীরা স্কুলছাত্রীকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় জোরপূর্বক তুলে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে কোমল পানীয়র সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে ধর্ষণ করে। স্কুল ছাত্রীর বাবা জানান, মেয়েকে তুলে নেয়া হয়েছে জানতে পেরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করি। পরবর্তীতে তিনি ওইদিন রাতেই চাঁদপুর সদর মডেল থানায় বিষয়টি অবহিত করেন এবং থানায় রিপন প্রধানিয়াকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামি রিপন প্রধানিয়াকে গ্রেফতার এবং স্কুল পড়ুয়া ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
মামলাটি তদন্ত করেন তৎকালীন চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ বড়ুয়া। মামলাটি তদন্ত শেষে তিনি ওই বছর ৩০ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার সরকার পক্ষে পিপি এড. সাইয়েদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলাটি গত ৩ বছর চলাকালীন ৯ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলা নথিপত্র পর্যালোচনা করে আদালতে আসামির উপস্থিতিতে বিচরক এই রায় দেন। মামলার সরকার পক্ষে এপিপি ছিলেন খোরশেদ আলম এবং আসামি পক্ষে ছিলেন এবিএম সানাউল্লাহ।