সৌন্দর্য ধরে রাখতে নজর দিন সঠিক খাদ্যাভ্যাসে

0

তারুণ্য ধরে রাখা এবং লাবণ্যময় সুন্দর রূপের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্যাভ্যাস খুব জরুরি। শুধু খাদ্যাভ্যাস বদলেই অটুট স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের অধিকারী হওয়া সম্ভব।

পানি : চলছে গ্রীষ্মকাল। এই ঋতুতে প্রতিদিন কমপক্ষে ২.৫ লিটার পানি পান করবেন। তবে যারা প্রচুর রোদে কাজ করেন তাদের জন্য ৩.৫  লিটার পর্যন্ত পানি ঠিক আছে। এতে ত্বক ডি-হাইড্রেটেড হবে না। সকালে খালি পেটে পানি পান করুন। এতে ইউরিনেশনের মাধ্যমে শরীরের ভিতরের আবর্জনা বের হবে।

টক দই : এতে আছে ভিটামিন ডি, প্রোটিন। টক দই সহজে হজম হয় বলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় টক দই রাখুন। নিয়মিত খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় ও লাবণ্যতা বয়ে আনে।

বাদাম : যে কোনো বাদাম ত্বকের জন্য উপকারী। এতে যে ভালো ফ্যাট আছে তা সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বাদামে থাকা ভিটামিন ‘ই’ ত্বকের  ক্ষতিকর প্রভাব দূর করে। চীনাবাদাম, কাঠবাদাম ত্বকের জন্য বেশি উপকারী। 

শাক-সবজি : বয়স ধরে রাখতে শাক-সবজির ভূমিকা অপরিসীম। বেশি করে শাক-সবজি খেলে এতে থাকা পরিমিত ভিটামিন ও মিনারেল ত্বকের বলিরেখা সহজে হতে দেয় না এবং ত্বকের লাবণ্যতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

সালাদ : শশা, টমেটো ও গাজরের সালাদ ত্বকের জন্য উপকারী। কারণ এতে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ই’ আছে। তবে অবশ্যই সালাদ তেলের সঙ্গে মিশিয়ে খাবেন। কারণ তেল ছাড়া সালাদ খেলে ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে সহজে শরীরে শোষণ হয় না।

অলিভ ওয়েল : অলিভ ওয়েল ত্বকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এতে থাকা ভিটামিন ‘ই’ ত্বকের উজ্জ্বলতা ও লাবণ্যতা বাড়ায়।

মাছ : যে কোনো মাছ ত্বকের জন্য উপকারী। তবে যাদের অ্যালার্জি আছে, তারা চিংড়ি ও ইলিশ মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। মাছে বিদ্যমান প্রোটিন, ভিটামিন ‘ই’, ‘ডি’ ও মিনারেল ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।

গ্রিন টি : ত্বকের উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গ্রিন টি অনেক উপকারী চা। প্রতিদিন কমপক্ষে একবার গ্রিন টি পান করুন। এতে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ অন্যান্য চায়ের তুলনায় অনেক বেশি। যা ত্বক ও শরীরের জন্য উপকারী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here