সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ইমাম হোসাইন রনির (৪৫) টঙ্গীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। বাবা আব্দুল লতিফ ছেলেকে হারিয়ে অঝোরে কাঁদছেন। ইমাম হোসাইন রনির স্ত্রী শিমু আক্তার (৩৫) বলেন, ‘আমি আমার স্বামীর লাশটি ফেরত চাই, তাকে একনজর দেখে শেষ বিদায় দিতে চাই। পাশেই ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়েছিল রনির একমাত্র ছেলে ইসমাইল হোসাইন (১০)।
নিহতের ছোট ভাই হোসাইন আহমেদ জসিম জানান, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জে তাদের গ্রামের বাড়ি। গাজীপুরের টঙ্গী বড় দেওড়া জামে মসজিদ রোডে বাসা তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবত পরিবারসহ তারা বসবাস করছেন। তিন ভাই, এক বোনের মধ্যে রনি দ্বিতীয়। দেওড়া এলাকায় টেইলার্স ও মুদি দোকানদারি করতেন রনি। কিন্তু ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় ভাগ্য বদলের আশায় সৌদি আরবে পাড়ি জমান। বিগত ৮ বছর যাবত সৌদি আরবে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন তিনি। গত দুই মাস আগে ছুটি নিয়ে দেশে আসেন। ছুটি কাটিয়ে গত শনিবার সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেন। আগামী ১ এপ্রিল তার কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে হাতে সময় থাকায় ওমরাহ পালন করতে আগেই সৌদিতে চলে যান।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সৌদি আরবের আসির প্রদেশে ওমরাহ যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে আগুন লাগে। এতে ইমাম হোসাইন রনিসহ ২৪ জন মৃত্যুবরণ করেন এবং ২৯ জন যাত্রী আহত হন।