বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যতে করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীকে টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক করা হয়েছে।
আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিডা।
বিডার নেতৃত্বে গঠিত ১৩ সদস্যের এ টাস্কফোর্সে সদস্য হিসেবে রয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব। তাদের সঙ্গে রয়েছেন উল্কাসেমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. এনায়েতুর রহমান, প্রাইমসিলিকন টেকনোলজির চেয়ারম্যান ইশতাক আহমেদ ও নিউরাল সেমিকন্ডাক্টর লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ জব্বার। এই তিনজন টাস্কফোর্সে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের দেশীয় উদ্যোক্তা হিসেবে থাকবেন।
টাস্কফোর্সে সেমিকন্ডাক্টর খাতের প্রযুক্তিবিদ বা বিশেষজ্ঞ হিসেবে সদস্য করা হয়েছে তিনজনকে। তারা হলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের প্রধান এ বি এম হারুন-উর-রশিদ, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ।
বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি সেমিকন্ডাক্টর বিশেষজ্ঞ বা শিক্ষাবিদ বা শিল্পোদ্যোক্তা শ্রেণিতে তিনজনকে টাস্কফোর্সে রাখা হয়েছে। তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্রিন কোয়েস্টের প্রতিষ্ঠাতা মাশুক রহমান, সিলিকন ভ্যালিভিত্তিক সেমিকন্ডাক্টর বিশেষজ্ঞ মোস্তাফিজ চৌধুরী ও ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (আইডিএফ) নির্বাহী পরিচালক জহিরুল আলম। এতে সদস্যসচিব হিসেবে কাজ করবেন বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান।
বিডা জানিয়েছে, টাস্কফোর্সের কাজ হবে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে তাৎক্ষণিক প্রবৃদ্ধির সুযোগ চিহ্নিত করা, নীতি ও দক্ষতার ঘাটতি দূর করা এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগ আকর্ষণে অবকাঠামো ও প্রণোদনা কাঠামো প্রস্তাব করা। এ জন্য টাস্কফোর্স সুনির্দিষ্টভাবে সেমিকন্ডাক্টর খাতের চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যতে করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ করবে।
আগামী এক মাসের মধ্যে এই টাস্কফোর্স প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে। টাস্কফোর্স প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।