ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন দ্বীপে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি টিম। সোমবার (১৫ মে) বিকেলে পরিদর্শনে যান কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মেয়র, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এরফানুল হক চৌধুরী ও টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হালিম প্রমূখ।
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে বঙ্গোপসাগরের মধ্যে আট বর্গকিলোমিটার আয়তনের দ্বীপ সেন্টমার্টিনে দুই হাজারের মতো ঘরবাড়ি, দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে ১২ শতাধিক। সেন্টমার্টিন দ্বীপের উত্তরপাড়া, দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া, গলাচিপা, মাঝেরপাড়া, কোনারপাড়া, অধিকাংশ কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে। অনেকেই খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীনবযাপন করছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের জন্য ২২০০ খাবার প্যাকেট প্রস্তুত করা হয়েছে। ১০০০ জনের প্যাকেট আমরা সঙ্গে নিয়ে এসেছি। বাকিগুলো সাগরের পরিস্থিতি ভালো থাকলে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হবে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান বলেন, জেলা প্রশাসন-উপজেলা প্রশাসন ও কোস্টগার্ড মিলে ১০০০ জনের প্যাকেট বিতরণ করেছি। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে। দ্বীপবাসীকে আশ্বস্ত করেছি ক্ষতিগ্রস্তরা প্রত্যেকেই সরকারী সাহায্য সহযোগিতা পাবেন। আগামীকাল থেকেই ঢেউটিন ও নগদ টাকা পাঠানো শুরু হবে। দ্বীপবাসীকে আগামীকালকে পূণবাসর্নের কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।
এদিকে একইদিন দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করেন উখিয়া-টেকনাফের সাবেক এমপি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি।