আইপিএলের চলতি আসরে ব্যাট হাতে নিজের সেরা সময়টাকে নতুন করে মনে করিয়ে দিচ্ছেন বিরাট কোহলি। আসরের প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন। ২ ফিফটি আর ১ শতকের সুবাদে বাকি ব্যাটারদের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে আছেন তিনি। সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় ৩১৬ রান করে সবার আগে আছেন বেঙ্গালুরুর এই ওপেনার। দুইয়ে থাকা রিয়ান পরাগের রান ১৮৫।
কিন্তু এরপরেও সবার মন পাচ্ছেন না এই ব্যাটার। এর পেছনে অবশ্য কারণও আছে। বেঙ্গালুরু এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত জিতেছে মোটে ১ ম্যাচ। কোহলি রান করেও দলের স্কোর বড় করতে পারছেন না। স্ট্রাইকরেটের নিরিখেও পিছিয়ে আছেন বাকি সবার থেকে। রিয়ান পরাগের স্ট্রাইক রেট যেখানে ১৫৮.১১। সেখানে কোহলির ১৪৬.২৯।
আইপিএলের মানদণ্ডে কোহলি যে ধীরগতির ইনিংস খেলছেন তা কিছুটা স্পষ্ট। এমনকি গতকালের সেঞ্চুরি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ৬৭ বলের এই সেঞ্চুরি যে আইপিএলে ইতিহাসেই সবচেয়ে ধীরগতির সেঞ্চুরি। ২০০৯ সালে সবশেষ ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন মনীশ পান্ডে। ৬৬ বলে সেঞ্চুরি করেছেন তিনজন। ২০১১ সালে শচীন টেন্ডুলকার, ২০১০ সালে ডেভিড ওয়ার্নার এবং ২০২২ সালে জশ বাটলার তিন অঙ্কে যেতে খেলেছিলেন ৬৬ বল।
তবে কোহলি নিজে জানিয়েছেন তিনি এসব নিয়ে ভাবতে রাজি নন, ‘কোনও ধরনের ভাবনা নিয়ে কখনও খেলতে নামি না। আক্রমণ করব না ধরে খেলব এই ভাবনা মাথাতেই থাকে না। আজ এক সময় ১০ বলে ১২ রান ছিল আমার। তখনও অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে যাইনি। বোলারকে ভাবতে বাধ্য করেছি।’
কোহলি নিজেও জানেন পরিস্থিতির কথা। তবে এমন সময়ে এসে নিজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার প্রতিই আস্থা রাখছেন তিনি, ‘বোলারেরা সব সময় চায় আমি যাতে শট খেলি এবং আউট হই। কিন্তু এত দিনে এটুকু অভিজ্ঞতা এবং পরিণত মানসিকতা আমার হয়েছে যাতে ওদের ভাবাতে পারি। আমি পরিবেশ এবং পিচ অনুযায়ী খেলি।’