নেত্রকোনার বারহাট্টায় চাকরি পেয়ে কাজে যোগদান করেছে নিহত মুক্তির বড়বোন নীপা রানী বর্মন। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করে নিহত মুক্তি রানী বর্মনের পরিবার। এসময় তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসক নিহতের বড় বোনকে নিজ কার্যালয়ে চাকরি প্রদান করেন।
এছাড়াও ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা পরিবারটির খোঁজ রেখেছেন। সমবেদনা জানাতে ছুটে গিয়েছেন গ্রামের বাড়ি বারহাট্টা উপজেলার প্রেমনগরে। স্থানীয় সংসদ সদস্য সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু নিজে গিয়ে আর্থিক সহায়তা করে এসেছেন।
মুক্তি প্রেমনগর গ্রামের নিখিল চন্দ্র বর্মণে ছয় মেয়ের মাঝে চতুর্থ। মূলত প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষিপ্ত হয়েই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশ ও আদালতের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে কাওসার।
গত সাতদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন বিচলিত। এর মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে মুক্তির মা-বাবা সপরিবারে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আসেন। এ সময় তাদের সাথে নানা আলোচনা ও অভাব অভিযোগ শুনে তাৎক্ষণিকভাবে নিজ কার্যালয়ে চাকরির ব্যবস্থা করে দেন জেলা প্রশাসক। ওইদিনই যোগদান করে নীপা।
অল্প সময়ে চাকরির ব্যবস্থায় কিছুটা হলেও আনন্দিত হয়েছে পরিবারটি। হিন্দু বৌদ্ধ কল্যাণ ঐক্য পরিষদের নেতাদের উপস্থিতিতেই তিনি ডিসি অফিসে আউটসোর্সিংয়ের কাজে যোগ দেন। এতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পরিবারসহ হিন্দু ধর্মীয় নেতারা।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, মুক্তির বোনরা এখন সাহস পাবে। পরিবারটি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। মানসিক শক্তি সঞ্চয় হবে। নারীদের অগ্রযাত্রায় ইভটিজিং একটি বড় বাধা উল্লেখ করে সকলকে সচেতন হওয়াসহ ছেলেমেয়ে উভয়কে পারিবারিকভাবে সচেতন করে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি পরিবারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।