ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর গজারিয়ায় প্রথমবারের মতো জমিতে করা হয়েছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। গজারিয়া গ্রামের কৃষক সহিদ, মন্নান, সোহেল ও সোহাগসহ ১৫ জন কৃষক সূর্যমুখী চাষ করেছেন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সূর্যমুখী ফুলের এমন অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক প্রকৃতিপ্রেমীরা ছুটে আসছেন পরিবার নিয়ে।
এদিকে, ফুল চাষ করে আয়ের পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ হওয়ায় খুশি কৃষকরা। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান জানান, রবি মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের কৃষিবান্ধব সরকার সূর্যমুখীসহ বিভিন্ন ফসলের বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন। সূর্যমুখী একটা চমৎকার ও সম্ভাবনাময়ী ফসল। উক্ত ইউনিয়নের কৃষক নির্বাচনসহ সকল ধরনের সহায়তা করেছে ইউনিয়নে নিয়োজিত উপ-সহকারী কৃষি অফিসাররা। তাদের পরিশ্রমের কারণেই আজ মাঠে সূর্যমুখী ফুলগুলো হাসছে।
উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, সূর্যমুখী ফুলের তেল স্বাস্থ্যসম্মত ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক উপকারী। সরকারের প্রণোদনার কর্মসূচির আওতা তেল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সূর্যমুখী ফুলের চাষ করার জন্য কৃষকদের বীজ, সার ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত আমরা মাঠ পরিদর্শন ও পরামর্শ দিচ্ছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, সূর্যমুখীর বীজ থেকে উৎপাদিত তেলে লিনোলিক এসিড থাকে, যা হার্টের জন্য ভালো। সূর্যমুখী তেলের উৎপাদন বাড়লে মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত তেল পাবে, চাষিরাও লাভবান হবেন। কম খরচে বেশি লাভের সুযোগ থাকায় ওই এলাকার আরও অনেকেই সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। রবি ফসলের মধ্যে সূর্যমুখী অন্যতম। তিন মাসের মধ্যে প্রতিটি গাছে ফুল ফোটার পর বাগানগুলো অপরূপ সৌন্দর্য ধারণ করেছে।