মিরপুরে টার্নিং উইকেটে জমজমাট লড়াইয়ের পর শেষ হাসি হেসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রোমাঞ্চকর ম্যাচ টাই হওয়ার পর সুপার ওভারে গড়ায় লড়াই, যেখানে ভাগ্য সহায় হয় ক্যারিবিয়ানদের। তবে ম্যাচশেষে আলোচনার কেন্দ্রে রিশাদ হোসেন। কারণ, মূল ইনিংসে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে বিপদ থেকে টেনে তোলা এই ক্রিকেটারকে দেখা যায়নি সুপার ওভারে। আর সেটা দেখে বিস্মিত হয়েছেন ক্যারিবিয়ান স্পিনার আকিল হোসেন।
মূল ইনিংসে মাত্র ১৪ বলে ৩৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলা রিশাদ ছিলেন অপরাজিত। বিশেষ করে শেষ ওভারে আকিলের বলেই একটি চার ও একটি ছক্কাসহ নিয়েছিলেন ১৬ রান। আগের ম্যাচেও তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১৩ বলে ২৬ রান। অথচ সুপার ওভারে বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট করতে দেখা গেছে সাইফ হাসান, সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্তকে। ডাগআউটে বসে থাকতে দেখা যায় ম্যাচের অন্যতম নায়ক রিশাদকে।

ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে ক্যারিবিয়ান স্পিনার আকিল হোসেন বলেন, “হ্যাঁ, একটু অবাক হয়েছিলাম। ম্যাচে যিনি সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন, ১৪ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত, তাকে সুপার ওভারে না পাঠানো অবাক করার মতোই। ওর দিকেই ছিল ছোট বাউন্ডারি, যেখানে দুইটা ছক্কা মেরেছিল। আমরাও সবাই অবাক হয়েছিলাম যে ওকে নামানো হলো না।”
আকিল আরও যোগ করেন, রিশাদকে না পাঠিয়ে বাংলাদেশ যে ভুল করেছে, সেটাই তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে, “শেষ পর্যন্ত এটা আমাদের পক্ষেই গেল। ওদের মধ্যে রিশাদই ছিল একমাত্র যার শক্তি আর রিচ ছিল, ও লম্বাও। কিন্তু তারা ওকে পাঠায়নি, আমরা বেঁচে গেছি।”
মিরপুরের উইকেট নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়েও সতর্ক ছিলেন আকিল। তার ভাষায়, “এই উইকেট স্পিনারদের অনেক সাহায্য করে, কিন্তু তবুও এটা সহজ না। কারণ এখানে ভুল করার সুযোগ খুবই কম। বল বেশি টার্ন করলে ব্যাট বা স্টাম্প থেকে অনেক দূরে চলে যায়। আবার শর্ট বল করলেই ব্যাটার সহজে কাট বা পুল করে দিতে পারে।”
শেষে ভালো ক্রিকেটের প্রত্যাশা জানিয়ে আকিল বলেন, “দিনের শেষে আমরা সবাই ভালো ক্রিকেট দেখতে চাই। আমি যেমন বোলার, তেমনি ব্যাটারও। তাই আমাদের চাওয়া ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট।”