ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রীবাহী দোতলা লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে সুগন্ধা নদীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ৪ বছর পূর্ণ হলো। ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর গভীর রাতে ঘটে যাওয়া এই অগ্নিকাণ্ডে ৪০ জন যাত্রীর মৃতদেহ শনাক্ত করা গেলেও অনেকে পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমেও পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয়, এই দুর্ঘটনায় শতাধিক যাত্রী নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন।
অগ্নিকান্ডের ৪ বছর পার হওয়া সত্ত্বেও হতভাগা যাত্রীদের পরিবার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা বা ন্যায্য বিচার পাননি। বরগুনার নিহত যাত্রীদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠের মৃতদেহ বরগুনার ঢলুয়া ইউনিয়নের পোটকাখালী গণকবরে দাফন করা হয়। দুর্ঘটনার পর যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে কিছু আর্থিক সহায়তা দেওয়া হলেও বিচার এখনো অনিশ্চিত রয়েছে।
দুর্ঘটনার পর বরগুনা ও ঝালকাঠি থানায় পৃথক মামলা হলেও অভিযুক্তরা কয়েক মাস কারাভোগের পর জামিনে রয়েছেন। এই লঞ্চে বরগুনার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাহমুদুল হাসান মিরাজ তার বাবা-মা ও স্ত্রী সন্তানসহ ছিলেন। তিনি ও তার স্ত্রী ও সন্তান অল্পে বেঁচে গেলেও তার বাবা অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন।
বর্তমানে মামলাগুলো নৌ-আদালত বরিশালে চলমান থাকলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

