সিলেটে মেনিনজাইটিস টিকা সংকট, বিপাকে ওমরাহ যাত্রী

0

ওমরাহ ও হজযাত্রীদের সর্দি-কাশি ও অণুজীবের সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্রমণের আগে মেনিনজাইটিস টিকা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করেছে সৌদি আরব। ভ্রমণের অন্তত ১০ দিন আগে যাত্রীকে নিতে হবে এই টিকা। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে টিকার এই বাধ্যবাধকতা। কিন্তু সিলেটে মেনিনজাইটিস টিকার সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন ওমরাহ যাত্রীরা। টিকার জন্য তারা এক হাসপাতাল থেকে ঘুরছেন অন্য হাসপাতালে। ভ্রমণের ১০ দিন আগে টিকা দিতে না পেরে অনেক যাত্রীকে বিমানের টিকিট বাতিল করতে হচ্ছে। এ জন্য লোকসানের শিকার হচ্ছেন ওমরাহ যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্সির মালিকরা। জানা গেছে, সৌদি আরব ভ্রমণ কিংবা ওমরাহ পালন করতে যাবেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে অন্তত ১০ দিন আগে মেনিনজাইটিজ টিকা নিতে হবে। এ ঘোষণার পর থেকে সিলেটের যাত্রীরা টিকার জন্য হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরতে থাকেন। কিন্তু কোথাও মিলেনি টিকা। ৩০ জানুয়ারি থেকে কয়েকটি হাসপাতালে স্বল্পসংখ্যক টিকা দিলেও তা ছিল অনেকটা দুষ্প্রাপ্য। একাধিক দিন সকালে ঘুরে কেউ টিকা দিতে সক্ষম হয়েছেন, আবার কেউ ব্যর্থ হন। যারা বেসরকারি হাসপাতালে টিকা দিয়ে সার্টিফিকেট নিয়েছিলেন, তারা নতুন করে পড়েছেন বিপাকে। টিকা দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল থেকে অনলাইন সার্টিফিকেট নেওয়ার পর এখন বলা হচ্ছে এই সার্টিফিকেট নিয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার জন্য। সেখান থেকে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে টিকার নিবন্ধন করে সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশন করতে হবে। এই নির্দেশনার পর থেকে টিকাগ্রহণকারীরা এখন দৌড়াতে হচ্ছে ওসমানী হাসপাতালে। এদিকে, যারা ১০ ফেব্রুয়ারি ওমরাহ পালনে যাবেন তাদের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে টিকা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনেক যাত্রী এই সময়ের মধ্যে টিকা নিতে পারেননি। কিন্তু টিকা দিতে না পেরে প্যাকেজ বাতিল করতে গিয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুুখীন হচ্ছেন। এ ছাড়া ট্রাভেল এজেন্সিগুলোও প্যাকেজের যাত্রীর জন্য হোটেল ও ট্রান্সপোর্ট বুকিং দিয়ে তা বাতিল করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় ওমরাহ যাত্রী ও ট্রাভেলস এজেন্সিগুলোর পক্ষ থেকে টিকা সরবরাহ স্বাভাবিক করার দাবি জানানো হচ্ছে।

আটাব সিলেটের সাবেক সভাপতি আবদুল জব্বার জলিল বলেন, ‘সিলেটে চাহিদার তুলনায় টিকার সরবরাহ কম থাকায় ওমরাহ যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। টিকার জন্য যাত্রীরা হাসপাতালে দৌড়াচ্ছেন। কেউ কেউ টিকা দিয়ে এখন ওসমানীতে ভেরিফিকেশনের জন্য যাচ্ছেন। টিকা কেন্দ্রগুলোতে  ভেরিফিকেশনের সুযোগ থাকলে হয়রানি কিছুটা কমত। এ ছাড়া অনেক যাত্রী টিকা দিতে না পেরে ফ্লাইট বাতিল করছেন। এতে যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্সি উভয় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here