সিলেটকে হারিয়ে রংপুরের টানা দ্বিতীয় জয়

0

সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৩৪ রানে হারিয়ে বিপিএলে টানা দুই ম্যাচ জিতল রংপুর রাইডার্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করে রংপুর। পরে ওই রান তাড়ায় নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২১ রানের বেশি করতে পারেনি সিলেট।  

আজ মঙ্গলবার মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২২ রানে নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় রংপুর। ৭ বলে ৭ রান করা অ্যালেক্স হেলস ক্যাচ দিয়ে আউট হন আরিফুল হকের বলে। প্রথম উইকেট হারানোর পরের ছয় রানের ভেতরই আরও দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রংপুর।  

পরের দুটি উইকেটই পান আল আমিন হোসেন। তিনি শুরুটা করেন সাইফ হাসানকে দিয়ে। এক বল পরই ১৫ বলে ১২ রান করা হেলসকে আউট করেন।

দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলের হাল ধরেন ইফতেখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ। দুজন মিলে ৩৮ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন। ১৬ বলে ২১ রান করে সামিউল্লাহ সিনওয়ারীর বলে খুশদিল ক্যাচ দিলে এই জুটি ভাঙে।  

কিন্তু দলকে আর নতুন করে চাপে পড়তে দেননি নুরুল হাসান সোহান। ইফতেখার আহমেদকে নিয়ে সংগ্রহটা ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কাজও করেন তিনি। ৪ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ২৪ বলে ৪১ রান করেন অধিনায়ক সোহান। রিচ টপলের বলে আরিফুল হক অনেকটা দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নিলে আউট হন সোহান।  

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে দলের রান আরও বাড়িয়ে দেন মাহেদী হাসান। ৮ বলে ১৬ রান করে ইনিংস শেষ হওয়ার এক বল আগেই আউট হয়ে যান তিনি। ৪২ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ইফতেখার।

রান তাড়ায় নামা সিলেটের প্রথম উইকেট দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নেয় রংপুর। ৩ বলে ২ রান করা জর্জ মুনশেকে বোল্ড করেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। এরপর রনি তালুকদারকে নিয়ে দ্রুত রান তুলছিলেন জাকির হাসান। কিন্তু ১৮ বলে ৩৩ রানের ওই জুটি ভেঙে দেন নাহিদ রানা।  

তার দ্রুতগতির ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হন জাকির, ১২ বলে ১৮ রান করেন তিনি। ওই ওভারের শেষ বলে পল স্টার্লিংও নাহিদের বলে হেলসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান। এরপর জাকের আলির সঙ্গে বড় জুটি গড়েন রনি তালুকদার।  

তবে এই জুটিতে রান আসছিল কিছুটা ধীরগতিতে। ৫৬ বলে ৩৮ রানের এই জুটি ভাঙেন খুশদিল শাহ। তার বলে বোল্ড হন ৩৬ বলে ৪১ রান করা রনি তালুকদার। পরের বলে স্টাম্পিং হন আরিফুল হক। টানা দুই বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন খুশদিল।

সেটি তিনি করেও ছিলেন। সামিউল্লাহ শিনওয়ারীকে এলবিডব্লিউ আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু পরে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান সামিউল্লাহ। হ্যাটট্রিক না হলেও সিলেট স্ট্রাইকার্স আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।  

প্রথম ৩১ বলে ১৮ রান করেন জাকের আলি। ১৬তম ওভারের প্রথম বলে নাহিদকে ছক্কা মারেন জাকের। কিন্তু পরের বলেই তুলে মারতে গিয়ে নাহিদের হাতেই ক্যাচ দেন তিনি। ৩৩ বলে ২৪ রান করে ফেরেন তিনি। বাকি ব্যাটাররা আর খুব বেশিদূর যেতে পারেননি। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে চার উইকেট নেন রংপুরের নাহিদ রানা।  

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here