সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার ইসলামপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সামরিক প্রধান জেনারেল মারহাফ আবু কাসরাকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। গত মঙ্গলবার নতুন প্রশাসনের জেনারেল কমান্ড এই ঘোষণা দেয়। এইচটিএস দীর্ঘদিন ধরে বাশার আল-আসাদের শাসন উৎখাতের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে।
সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, ৪১ বছর বয়সী মারহাফ পূর্বে একজন কৃষি অর্থনীতিবিদ ছিলেন। পরবর্তীতে পাঁচ বছর ধরে এইচটিএসের সশস্ত্র শাখার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি গত ৮ ডিসেম্বরের বিদ্রোহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, যা উত্তর সিরিয়া থেকে শুরু হয়ে রাজধানী দামেস্ক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে এইচটিএস প্রধান আহাদ আল-সারা এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে মারহাফকে জেনারেল পদে উন্নীত করেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগও সম্পন্ন হয়েছে। মোহাম্মাদ আল-বাশিরের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তিনি সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিবে বিদ্রোহীদের ‘উদ্ধারকর্তা সরকার’ পরিচালনা করছিলেন।
মারহাফ আবু কাসরা গত ১৭ ডিসেম্বর এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেন, এইচটিএস প্রথম বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে তার সশস্ত্র শাখা বিলুপ্ত করবে এবং জাতীয় বাহিনীর সঙ্গে একীভূত হবে। তিনি অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকেও এই একই পথে হাঁটার আহ্বান জানান।
মারহাফ আরও বলেছেন, নতুন নেতৃত্ব সিরিয়ার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত আধা স্বায়ত্তশাসিত এলাকাগুলোতে তাদের কর্তৃত্ব বিস্তারের পরিকল্পনা করছে। বাশার আল-আসাদের পতনের পর ইসরায়েলি হামলা ও সিরিয়ার ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন তিনি।
সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের এই উদ্যোগ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। একই সঙ্গে, এটি দেশটির অস্থির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল