আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশ নিতে পারবেন না। এক্ষেত্রে বিষয়টিকে সামনে রেখেই দলীয় কার্যক্রম হাতে নিতে হবে মর্মে আওয়ামী লীগকে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রবিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে এক চিঠিতে নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬-এর ২২ বিধিতে বলা হয়েছে-সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারবেন না, তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হলে তিনি কেবল তার ভোট দেওয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন।
নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচারযন্ত্র, সরকারি যানবাহন, অন্য কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের ব্যবহার করতে পারবেন না।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে-সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমপদমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র) যাতে দলীয় কার্যক্রম নেওয়ায় অথবা অন্য কোনো কার্যক্রম নেওয়ায় আচরণবিধি মেনে চলেন, সেজন্য নির্বাচন কমিশন বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছে।
এই অবস্থায় বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধানাবলী যথাযথভাবে অনুসরণে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ প্রদানের জন্য আদিষ্ট হয়ে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’