হেমন্তের মাঝামাঝি সময়ে শীতের আমেজ শুরু হতেই নাটোরের সিংড়া উপজেলায় লেপ–তোষক তৈরির দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। অনেকেই নতুন লেপ, তোষক, গদি ও বালিশ বানাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার পুরোনো লেপ–তোষক নতুন করে ভরাট করে নিচ্ছেন।
উপজেলার তুলাপট্রি এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, নয়ন বেডিং স্টোর, খান বেড স্টোর, নিউ খান বেড স্টোরসহ ছয়টি দোকানে কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। দোকান মালিক ওমর ফারুক বলেন, শীতের তিন থেকে পাঁচ মাসই লেপ–তোষক বিক্রির মৌসুম। এখনো পুরোপুরি ব্যবসা জমেনি, তবে ক্রেতাদের আনাগোনা শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, তুলা ও কাপড়ের মানের ওপর ভিত্তি করে একটি লেপ তৈরি করতে খরচ পড়ে ১,৫০০ থেকে ১,৮০০ টাকা। ছোট লেপ পাওয়া যায় ৯০০ টাকার মধ্যে।
রাখালগাছা এলাকা থেকে আসা ক্রেতা আলেয়া ও মজনু দম্পতি বলেন, লেপ ও তোষক বানাতে এসেছেন, তবে তুলা–কাপড়ের দাম এবার একটু বেশি মনে হচ্ছে।
খান বেড স্টোরের মালিক আনিসুর রহমান জানান, এ বছর তুলা–কাপড়ের দাম বাড়ায় লেপ–তোষক তৈরির খরচ ২০০–৩০০ টাকা বেড়েছে। তবে একটি লেপ বিক্রি করে তাদের ২০০–৩০০ টাকা লাভ থাকে।
এছাড়া জামতলী, বিয়াশ ও শেরকোল বাজারেও ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। এসব বাজারে—শিমুল তুলা: ২৮০–৩০০ টাকা কেজি, মেল কাপড়: ১২০–১৩০ টাকা গজ, গার্মেন্টস তুলা: ৫০–৭০ টাকা কেজি, ফোম: ১০০–১৫০ টাকা, আম শালু কাপড়: ৬০ টাকা গজ, তানজিল শালু: ৫০ টাকা গজ, মোবাইল শালু: ৫০ টাকা গজ।
৪–৫ হাত মাপের একটি লেপ বানাতে শ্রমিক মজুরি নেওয়া হচ্ছে ২৫০–৩০০ টাকা।
বিয়াশ বাজারের সান তুলা ও ফোম ঘরের মালিক শাহরিয়ার হোসেন বলেন, শীতের মৌসুমেই তাদের ব্যবসার মূল সময়। এখন প্রতিদিন ৩–৪টি লেপ তৈরি হচ্ছে, শীত বাড়লে ১০–১৫টি পর্যন্ত তৈরির আশা করছেন।

