আফ্রিকা কাপ নেশনসে সবচেয়ে সফল দল মিসর। যদিও ২০১০ সালের পর মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্যের এই ট্রফির দেখা পায়নি তারা। এরপরও প্রতিবার শিরোপার দাবীদার হয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করে মিসর। মোহাম্মদ সালাহ-ওমর মারমুশের এই দল এবার আটবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অভিযান শুরু করেছে।
আফকনের চলতি সংস্করণের শুরুটা জয় দিয়ে করেছে মিসর। গ্রুপ ‘বি’-র প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সালাহর যোগ করা সময়ের গোল ২-১ গোলে জেতে তারা। এ গ্রুপের অন্য ম্যাচে একই ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকা হারায় অ্যাঙ্গোলাকে। এবার প্রথম ম্যাচে তিন পয়েন্ট পাওয়া দুই দল মুখোমুখি হবে। আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মাঠে নামবে মিসর-দক্ষিণ আফ্রিকা।
মিসরের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে দারুণ আত্মবিশ্বাসী দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হুগো ব্রুস। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দুই তারকা মোহামেদ সালাহ ও ওমর মারমুশকে নিয়ে কোনো ভীতি অনুভব করছেন না বলে জানান তিনি।
আফ্রিকা কাপ নেশনসের ২০১৭ সংস্করণের ফাইনালে মিসরকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ক্যামেরুন। আর ক্যামেরুনের কোচ ছিলেন তখন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান কোচ ব্রুসই। বেলজিয়ান এই দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়ে দিলেন, সালাহ বা মারমুশকে আটকাতে তিনি কোনো আলাদা কৌশল নেবেন না।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে হুগো ব্রুস বলেন, ‘আমরা কাউকে আলাদা করে লক্ষ্য করছি না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দল।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা সবাই জানি সালাহ কতটা ভালো, মারমুশ কতটা ভালো, ত্রেজেগে ও অন্য খেলোয়াড়রাও কতটা মানসম্মত। তারা নিঃসন্দেহে দারুণ একটি দল। তাহলে কেন আমরা একজন খেলোয়াড়কে নিয়েই ভাবব? আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে পুরো দলটিকে হারানোর জন্য।’
আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সে সবশেষ দুই দলের দেখা হয়েছিল ২০১৯ আসরে। সেবার শেষ ষোলোতে স্বাগতিক মিসরকে ১–০ গোলে হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাই এগিয়ে যায়।
ব্রুস আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হবে মিসরকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলা। সেটা করা সম্ভব তখনই, যখন আমরা নিজেদের মান অনুযায়ী খেলব এবং যেসব খেলোয়াড়কে আমরা স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করি, তাদেরই কাজে লাগাব।’

