সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।
তিনি বলেন, আমাকে মানুষ এতটা ভালোবাসে তা মুখে বলে প্রকাশ করা যাবে না। সবাইকে ধন্যবাদ। একই সঙ্গে আমি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
ঈদের আগেই ৫০টি মামলার সবকটিতেই জামিন পেয়েছিলেন রহুল কবির রিজভী আহমেদ। সর্বশেষ মানহানির অভিযোগে গোপালগঞ্জে দায়ের করা একটি মামলায় গত ১৮ এপ্রিল জামিন পেলেও জামিননামার মূল কপি কারাগারে না পৌঁছানোর কারণে ঈদের আগে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। গতকাল জামিননামার মূল কপি হাতে হাতে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হলে আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে বিএনপির এই শীর্ষ স্থানীয় নেতাকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তি লাভের পর কারা ফটকে উপস্থিত হাজার হাজার নেতাকর্মী তাকে স্বাগত জানান।
মুক্তির পর কারাফটকের সামনে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় রিজভী আহমেদের স্ত্রী আরজুমান আরা বেগম ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ডা. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ চার শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে। পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। পল্টন ও মতিঝিল থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিজভীকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আরও বিভিন্ন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
কারাগারে থাকাকালীন কয়েকবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। রিজভী আহমেদ বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের পাশাপাশি বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরেরও দায়িত্বে রয়েছেন।