সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় ফল সাম্মাম। এই সাম্মাম এখন চাষ হচ্ছে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে। সাম্মাম চাষে ভালো লাভের মুখ দেখছেন এখানকার কৃষক। অল্প সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় নতুন উদ্যোক্তাও তৈরি হচ্ছে। বাজারেও রয়েছে সাম্মামের ব্যাপক চাহিদা। সাম্মাম দেখতে অনেকটা তরমুজ ও বাঙ্গির মতো। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে ফলটি। মরুভূমির ফল হিসেবে পরিচিত হলেও বাজিতপুরে সফলভাবে চাষ হচ্ছে এটি। কম সময়ে ফলন এবং ভালো দাম পাওয়ায় সাম্মাম চাষে খুশি এখানকার কৃষক। জমি থেকেই পাইকাররা কিনে নিয়ে যাওয়ায় বাজারজাতের তেমন কোনো ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। ফলে সাম্মাম চাষ সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে এখানকার কৃষকদের।
বাজিতপুর উপজেলার খালেকারভাণ্ডা গ্রামের কৃষক সালাহ উদ্দিন এবার তিন বিঘা জমিতে সাম্মাম চাষ করেছেন। তিনি জানান, ফলন খুব ভালো হয়েছে। বাজারে চাহিদাও বেশি। পাইকাররা জমি থেকেই সাম্মাম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ভালো লাভের আশা করছেন তিনি।
সালাহ উদ্দিনের জমি দেখতে আসা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃষক আমজাদ হোসেন খান জানান, চুয়াডাঙ্গায় ঘুরতে গিয়ে সাম্মাম চাষ দেখে আগ্রহ তৈরি হয় তার। পরে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে সাম্মাম চাষ শুরু করেন তিনি। এখন জমি দেখতে প্রতিদিনই অনেকে এখানে আসছেন, তারাও উৎসাহ পাচ্ছেন। বাজিতপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল বাশার জানান, বীজ রোপণের ৩৪ দিনের মধ্যেই চারা গজায়। ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যেই সাম্মাম বাজারজাত করা যায়। প্রতি বিঘা জমিতে ৪ থেকে সাড়ে ৪ টন ফলন হয়। খরচ হয় ৬০ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকা। আর বিক্রিতে আসে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা।
বাজিতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম জানান, বাজিতপুরে গত অর্থবছর পরীক্ষামূলকভাবে ১৫ শতক জমিতে সাম্মাম চাষ করা হয়েছিল। এবার চাষ হয়েছে ৩ বিঘা জমিতে। বর্তমানে কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সুপারশপে ব্যাপক চাহিদা থাকায় আগামীতে সাম্মাম চাষ আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

