সাভার ও আশুলিয়ায় মে দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও সমাবেশ

0

মহান মে দিবস উপলক্ষে সাভার ও আশুলিয়া র‍্যালি ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। সুচিকিৎসা, কর্মস্থলে নিরাপত্তা, মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাসে উন্নীত করা, শোভন কর্মস্থলসহ বেশ কিছু দাবি নিয়ে বিক্ষোভও করেছেন তারা। বুধবার সকাল ১১টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল ত্রিমোড় এলাকায় এ সমাবেশ করে শ্রমিক সংগঠনগুলো। পরে লাল পতাকা নিয়ে র‍্যালি নিয়ে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক দিয়ে আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে আয়োজন সম্পন্ন করেন তারা। সাধারণ শ্রমিকদের সাথে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগ, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্যলীগ, ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স, বাংলাদেশ বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি লায়ন মো ইমাম হোসেন বলেন, শ্রমিকদের আইন থাকলেও, আইন মেনে চলা হয়না। রানা প্লাজা, তাজরিন ট্র‍্যাজেডিতে দেখা গেছে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের মূল বিষয়গুলো শ্রমিকরা পায়না। শ্রমিকরা বিচার পায়না। আমরা আন্তর্জাতিক মে দিবস উপলক্ষে এই দাবি জানাই যে, শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে যে আইনগুলো আছে সেগুলো যেন মেনে চলা হয়। গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্যলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সাথে মালিকদের সুসম্পর্ক গড়ে উঠলে, তাদের মধ্যে একতা থাকলে কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এতে করে সর্বোপরি দেশেরই উন্নয়ন হবে। এছাড়া অবৈধ ছাটাই ও ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে হয়রানি বন্ধ, শ্রমিকদের জন্য পেনশন স্কিম চালু, গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য রেশনিং সুবিধা চালুসহ আমাদের বেশ কিছু দাবি রয়েছে। এত বছরেও শ্রমিকরা এসকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

মহান মে দিবসে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের বর্নাঢ্য র‍্যালি ও মিছিল-সমাবেশে উত্তাল হয়ে উঠেছে শিল্পাঞ্চল সাভার। বুধবার সকাল থেকেই সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা নিজ নিজ ব্যানার ও লাল পতাকা হাতে মিছিল নিয়ে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হন। শ্রমিকরা সাভার ট্র্যাজেডির ঘটনাস্থল রানা প্লাজার সামনে সমবেত হয়ে ভবন ধসে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। পরবর্তীতে তারা রানা প্লাজার দুর্ঘটনায় নিহত, আহত এবং ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষনের দাবিতে আলাদা আলাদা সমাবেশ করেন। সমাবেশে বক্তারা কথায় কথায় শ্রমিক ছাটাই, নির্যাতন বন্ধ, মজুরি বোর্ড ঘোষিত বেতন কাঠামো বাস্তবায়নসহ গার্মেন্টস সেক্টরে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানান।

বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, এক বছর পার হয়ে গেলেও এখনও রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা তাদের ক্ষতিপূরণ পাননি। এখনও অনেক নিহত ও নিখোঁজ শ্রমিকের স্বজনেরা প্রতিদিন ক্ষতিপূরণের আসায় রানা প্লাজার সামনে চোখের জল ফেলছে। তিনি বলেন, অবিলম্বে এসব হতাহত শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিক ছাটাই, নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here