রাউফুর রহমান পরাগ : বৃষ্টি হলেই সাভারের আনোয়ার জং সড়কে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। খানাখন্দে জমে থাকা পানি আর কাঁদা মাড়িয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয় হাজারো পথচারী ও যানবাহনকে। এই দুর্ভোগ সাময়িকভাবে লাঘব করতে এগিয়ে এসেছেন সাভার থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম।
সোমবার (২৬ মে) শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে কলমা, দোসাইদ, আনারকলিসহ সিএন্ডবি থেকে আশুলিয়ামুখী আনোয়ার জং সড়কের বেশ কয়েকটি ভাঙাচোরা স্থানে ইট ফেলে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়। মূলত বৃষ্টির সময় সড়কের এসব স্থানে পানি জমে গর্তগুলো দৃষ্টিগোচর হয় না, ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এই সড়ক দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, দোকানদার, গার্মেন্টস শ্রমিক, এমনকি অ্যাম্বুলেন্সও চলাচল করে। কিন্তু রাস্তায় গর্ত আর কাদা থাকায় অনেক সময় রিকশা উল্টে যায়। শহীদুল ভাই নিজের উদ্যোগে ইট ফেলে আমাদের একটু স্বস্তি দিয়েছেন।’
যুবদল নেতা শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, এখন সাধারণ মানুষ হিসেবে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। কয়েকজন তরুণকে নিয়ে উদ্যোগ নেই খানাখন্দে ইট ফেলার। এতে অন্তত মানুষ এখন ভিজে না, হেঁটে কিংবা রিকশায় যাতায়াত করতে পারছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলো অনেক সময় প্রকল্পের অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু ভোগান্তি তো প্রতিদিনকার। তাই সামান্য চেষ্টা করেছি। আশা করছি, প্রশাসন দ্রুত টেকসইভাবে রাস্তাটি মেরামতের ব্যবস্থা নেবে।’
এলাকাবাসী জানান, আনোয়ার জং সড়কটি সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া থানার সংযোগ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। অথচ দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি নজিরবিহীন দুর্ভোগের নাম। বছরের পর বছর ধরে খানাখন্দের এই সড়কে ভোগান্তি পোহাচ্ছে হাজারো মানুষ।
তারা বলছেন, স্বেচ্ছাশ্রমে এভাবে একটি রাজনৈতিক দলের সাবেক নেতার উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। তবে এটিই স্থায়ী সমাধান নয়। প্রশাসনের উচিত দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তা সংস্কার করে জনগণের ভোগান্তি লাঘব করা।