সাভারের শিমুলিয়ার পাড়াগ্রামে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসাতুল আতফাল। একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্যেও এখানে প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে নানা অনৈতিক কর্মকান্ড।
গ্রামের অত্যন্ত সাদাসিধে মানুষের ছেলে মেয়েরা এখানে পড়তে আসে।
পরিবার তাদের সন্তানদের ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে থাকে। কিন্তু শিক্ষার নামে চলছে নানা অনৈতিক কর্মকান্ড যা গ্রামের সাদাসিধে মানুষ বুঝতেও পারেনা। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা জনাব সারোয়ার হোসেনের স্ত্রীর সাথে এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকের অবৈধ সম্পর্কের এক অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকের সাথে আলোচনা করে জানা যায় এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটিয়ে যাচ্ছে পরিচালকের স্ত্রী।
তাছাড়া কোনোরূপ সাড়া শব্দ না দিয়েই হুটহাট মেয়েদের ক্লাস রোমে প্রবেশ করে বসে পরিচালক। এতে অনেক মেয়ে শিক্ষার্থী বিরক্তবোধ করে।
যেহেতু ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটি পর্দা ও শরিয়তের জ্ঞান যতটুকু পাবার তার একটুও শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে না।
এই প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সারোয়ার হোসেনের আর একটি প্রতিষ্ঠান “সাজেদা বেগম গার্লস স্কুল ” রয়েছে।
সেখানেও একই কার্যকলাপ চলছে।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের এখানে মাঝে মাঝেই যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়।
এবং অধিকাংশ শিক্ষকের বেতন আটকে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে পরিচালক সারোয়ার হোসেনের নামে।
শিক্ষার্থীদের সামনেই পরিচালক দম্পতির এমন নোংরা কার্যকলাপ শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্ক বিকৃত করে দিচ্ছে।
এবং গ্রামের সাদাসিধে মানুষ তবুও না বুঝেই এখানে তাদের সন্তানদের পাঠাচ্ছে।
এবং শিক্ষার নামে প্রতিষ্ঠানে এমন নোংরা কার্যকলাপ প্রতিনিয়তই ঘটে যাচ্ছে আর মেধা শূন্য হয়ে পরছে অত্র এলাকার কিছু শিক্ষার্থী।
এটি নিয়ে এলাকার সচেতন মানুষের একটিই দাবি যেন উপজেলা প্রশাসন প্রতিষ্ঠানটিতে একটু সুনজর দেন।
ইতি মধ্যেই উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এবং সে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।