জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি মৃণাল কান্তি দাস ও তার স্ত্রী নিলীমা দাসের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।
আক্তার হোসেন জানান, মৃণাল কান্তি দাসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৫৫ লাখ ১৭ হাজার ২৩০ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখা এবং ৮টি ব্যাংক হিসাবে ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ২ কোটি ৪০ লাখ ৯৯ হাজার ৯০৬ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং এর সম্পৃক্ত অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে এর রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করার অপরাধে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা দায়ের করে।
এছাড়া নিলীমা দাস তার স্বামী মৃণাল কান্তি দাসের সহায়তায় নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৪৫ লাখ ২৮ হাজার ৮৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখল রাখা এবং নিজ নামে ৩০টি ব্যাংক হিসাবে ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১৬ কোটি ১৯ লাখ ২৭ হাজার ৬৪১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং এর সম্পৃক্ত অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে উহার রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করার অভিযোগে আনা হয়েছে।
এই অপরাধের জন্য নিলীমা দাস ও তার স্বামী মৃণাল কান্তি দাসের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জুলফিকার বাদি হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারা: দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা; এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সূত্র : বাসস।