পাবনার সাঁথিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদকে (৫০) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার এই ঘটনার পর আটক ১৩ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে শনিবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে সাথিয়া উপজেলার সোনাতলা আবুল বাজারের পাশে হারুন অর রশিদকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। হারুন অর রশিদ সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। আহতকে উদ্ধার করে প্রথমে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে শুক্রবারই ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ওই দিনই থানা পুলিশ এ ঘটনায় ৫টি হাসুয়া, কিছু বাঁশের লাঠি উদ্বারসহ ১৩ জনকে আটক করে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহত হারুন অর রশিদের ভাই জুয়েল রানা জানান, আমার ভাইকে নাগডেমরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রাহমানের লোকজন পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার ভাই বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলেও পায়ের অবস্থা ভালো নয়।
এ ব্যাপারে নাগডেমরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রাহমান জানান, মারপিটের ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। ‘মারপিটের বিষয়টি আমি জানতামনা, পরে শুনেছি। সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ আগামি নির্বাচনে আমাকে প্রতিহত করতে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে এবং তার লোকজন দ্বারা আমার সমর্থকদের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করছে।’
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে ৫টি হাঁসুয়া, কিছু বাশের লাঠি উদ্বারসহ সন্দেহভাজন ১৩ জনকে আটক করা হয়। পরে শুক্রবার রাতে আহত আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদের ভাই জুয়েল রানা বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৮/৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়েরের পর আটক ১৩ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে ওই এলাকায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।