শরীয়তপুরে অনাবাদি ও জলাবদ্ধ জমিতে সমন্বিত কৃষির আওতায় ডালি পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন করে সাড়া ফেলেছে কৃষি বিভাগ। এ পদ্ধতিতে পতিত ও জলাবদ্ধ জমি পরিষ্কার করে পানির ওপর ডালি স্থাপন করে চাষাবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি। কৃষি বিভাগের নতুন এই উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এলাকার কৃষক। কৃষি বিভাগের ডালি পদ্ধতিতে সবজি চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা।
পানির ওপর শক্ত নেট দিয়ে বানানো মাচা, সেই মাচা থেকে ঝুলে আছে লাউ, কুমড়া, শসাসহ নানা জাতের সবজি। তবে এসব সবজির গাছ কিন্তু কোনো জমিতে লাগানো হয়নি। জলাবদ্ধ জমির ওপর বাঁশে বাঁধা ডালিতে মাটি রেখে তাতেই লাগানো হয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজির চারা।
অনাবাদি ও জলাবদ্ধ জমিতে সমন্বিত কৃষির আওতায় ডালি পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন করে সাড়া ফেলে কৃষি বিভাগ। এ পদ্ধতিতে পতিত-জলাবদ্ধ জমি পরিষ্কার করে পানির ওপর ডালি স্থাপন করে চাষাবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি। বিভিন্ন সড়কের পাশের জমিতে কৃষি বিভাগের এই নতুন উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে চাষাবাদ শুরু করেছেন এলাকার কৃষকরা। আবাদে ফলন ভালো হওয়ায় নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এই অঞ্চলের কৃষক।
ছোবাহান হোসেন বলেন, এ জমিতে কৃষি কাজ করা যেত না কৃষি অফিসের লোক এসে বল্লে এ অনাবাদী জমিতে লাউ চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছি।
খলিল মিয়া বলেন, এ জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে ফসল হতো না কৃষি অফিসার স্যারদের সহায়তায় জমিতে সবজি চাষ করে লাভবান হবো।
রাবিয়া বেগম বলেন, কৃষি বিভাগের কথায় রাস্তার পাশে লাউ চাষ করে পরিবারের সকলে মিলে খেতে পারবো আবার বিক্রি করে লাভবান হবো তাই কৃষি বিভাগের স্যারদের ধন্যবাদ জানাই।
কৃষি বিভাগের ডালি পদ্ধতিতে সবজি চাষে সফল করার লক্ষ্যে মাঠে মাঠে ঘুরে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন কর্মকর্তারা। এ বছর শীতকালীন সবজি চাষে ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটছে বলে জানালেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার অলি হালদার।
এই বছর শরীয়তপুর জেলায় ২ হাজার ৩৫ হেক্টর অনাবাদি জমির মধ্যে ১১শ’ ২৫ হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায় এনেছে কৃষি বিভাগ।