১০ মাসে সাজা শেষে আগামীকাল শনিবার কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন ভারতের পাঞ্জাবের শীর্ষ কংগ্রেস নেতা নভোজিৎ সিং সিঁধু।
১৯৮৮ সালে অর্থাৎ ৩৪ বছর আগে রাস্তায় মারামারি করে এক ব্যক্তিকে হত্যার কারণে গত বছর সিঁধুকে এক বছরের জেল দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। গত ১০ মাস তিনি জেলবন্দি অবস্থায় ছিলেন।
সিঁধুর আইনজীবি এইচপিএস বর্মা জানান, ২০২২ সালের মে মাসে সিঁধুকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু জেলে ভালো আচরণ করায় তাকে আগেই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
মামলায় সিঁধুকে প্রথমে নিম্ন আদালত রেহাই দিয়েছিলেন। কিন্তু হাইকোর্ট সিঁধুকে ৩ বছরের সাজার নির্দেশ দেয়। তবে ২০১৮ সালের সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তকে পাল্টে দেয়। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট সিঁধুর উপর ১ হাজার টাকার জরিমানা ধার্য্য করা হয়। তবে সিঁধুর পরিবারের পক্ষ থেকে ২০১৮ সালের মে মাসেই এই শুনানি পুনরায় বিচার করার আবেদন জানানো হয়। এরপর ২০২২ সালের ১৯ মে সিঁধুর সাজা কমিয়ে তা ১ বছরে নামিয়ে আনা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর গুরনাম সিং নামের ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির সঙ্গে রাস্তায় বিবাদে জড়ান সিঁধু। গাড়ি পার্ক করা নিয়ে গুরনামের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে গুরনাম সিংকে গাড়ি থেকে বের করে মাথায় আঘাত করেন তিনি। এর কয়েকদিন পর হাসপাতালে গুরনাম সিংয়ের মৃত্যু হয়।
সিঁধু ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের এক সময়ের তারকা খেলোয়াড় ছিলেন। ক্রিকেটের পাট চুকিয়ে তিনি যোগ দেন রাজনীতিতে। এরপর দীর্ঘ সময় ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগেসের পাঞ্জাব প্রদেশের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। কিন্তু সর্বশেষ নির্বাচনে পাঞ্জাব কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পর তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেন।
সূত্র : এনডিটিভি