সাইফ আলি খানের অবস্থা কতোটা গুরুতর?

0

নিজের বাড়িতেই ছুরিকাঘাতে আহত বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানকে। প্রাথমিক ভাবে গেছে, তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে আহত সইফকে।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় সময় বুধবার রাত ২টার সাইফের বাড়িতে হানা দেয় এক অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। ডাকাতির উদ্দেশ্যেই এই হানা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। ওই দুষ্কৃতী সাইফকে ছুরি দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ। তার পরেই জখম অভিনেতাকে ভর্তি করানো হয় মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে।

মুম্বইয়ের বান্দ্রায় ‘সৎগুরু শরণ বিল্ডিং’ নামের একটি আবাসনে থাকেন সাইফ। এই আবাসনেই থাকেন অভিনেতার স্ত্রী তথা বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর। সাইফদের সঙ্গে থাকেন তার দুই শিশুসন্তান, আট বছরের তৈমুর এবং চার বছরের জেহ। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, দুষ্কৃতী যখন সে বাড়িতে ঢোকে, সেই সময় ঘুমাচ্ছিলেন অভিনেতা এবং তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যেরা। আওয়াজ পেয়ে বাড়ির সকলে উঠে পড়লে আবাসন থেকে বেরিয়ে যায় ওই হামলাকারী।

ইতোমধ্যেই বান্দ্রা থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। এই প্রসঙ্গে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “সাইফ আলি খান লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এটা স্পষ্ট নয় যে, তাঁকে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে না কি ডাকাতের সঙ্গে ধস্তাধস্তির জেরে তিনি আহত হয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। একই সঙ্গে এই ঘটনার তদন্ত করছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।” 

অভিনেতার টিম একটি বিবৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যম এবং অনুরাগীদের শান্ত থাকার আর্জি জানিয়েছে। বলা হয়েছে, সাইফের অবস্থা কেমন তা পরে জানানো হবে।

লীলাবতী হাসপাতালের অন্যতম শীর্ষ চিকিৎসক ডাক্তার নীরজ উত্তমানি জানান, ভোর সাড়ে ৩টা নাগাদ সাইফকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। অভিনেতার শরীরে ছয়টি ক্ষত রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি ক্ষত গভীর বলে জানিয়েছেন নীরজ। সাইফ শিরদাঁড়ার কাছেও আঘাত পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারই অভিনেতার অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। তার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল গঠন করা হয়েছে। নিউরো সার্জেন নিতিন ডাঙ্গে, কসমেটিক সার্জেন লীনা জইন এবং অ্যানাস্থেশিওলজিস্ট নিশা গান্ধী সইফের অস্ত্রোপচার করার দায়িত্বে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, অস্ত্রোপচারের পরই বলা যাবে ক্ষত কত গভীর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here