বাংলাদেশি আমেরিকান কম্যুনিটি কাউন্সিলের (বিএসিসি) পক্ষ থেকে সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড বিতরণ উপলক্ষে ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসে একটি পার্টি হলে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়াও ছিলেন কম্যুনিটির বিশিষ্টজনেরা। বিএসিসির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ এন মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল হকের উপস্থাপনা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর সাবলিল সমন্বয়ে গোটা অনুষ্ঠানের সমন্বয়ে ছিলেন মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, এম চৌধুরী জগলুল, এ ইসলাম মামুন, সুফিয়ান এ চৌধুরী, আরিফ রেজা, আম্বিয়া অন্তরা প্রমুখ।
ব্রঙ্কস বরো প্রেসিডেন্ট ভেনিসা গিবসন অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে বাংলাদেশি আমেরিকানদের কর্মনিষ্ঠার প্রশংসা করেন এবং আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের অভিপ্রায়ে বাংলাদেশিদেরকে আরও অধিক হারে ডেমক্র্যাটিক পার্টির সাথে সম্পৃক্ত হবার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। অতিথির মধ্যে আরও বক্তব্য দেন নিউইয়র্ক সিনেট ডিস্ট্রিক্ট-৩৭ এর সিনেটর শেলী মায়ের, ড. রোজমেরি উজ্জো, লায়লা বার, এন্ডেলা কলোন, মারলী সুয়েনেনেমেন, নরম্যান হোপম্যান, জুলি কোজেন্স, সোফিয়া বেরী, জিহান সাবা। বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের চীফ এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মীর বাশার এবং কম্যুনিটি লিডার আব্দুর রহিম বাদশা।
এ প্রসঙ্গে ব্রঙ্কস কম্যুনিটি বোর্ড-৯ এর মেম্বার মো. আলাউদ্দিন এ সংবাদদাতাকে বলেন, মূলধারার সাথে কম্যুনিটির সেতুবন্ধনের দায়িত্ব পালনকারি বিএসিসির উদ্যোগে প্রতি বছরই এমন অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। কম্যুনিটি সার্ভিসে যারা সময় দিচ্ছেন তাদেরকে আরো উৎসাহিত করতে বিএসিসির এ উদ্যোগের প্রশংসা রয়েছে সর্বত্র। সম্মাননা ক্রেস্ট প্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্তকালে এমটিএর ইঞ্জিনিয়ার মো. ফজলুল হক বলেন, দেশ এবং প্রবাসে আর্তমানবতায় বিশেষ একটি তৃপ্তি রয়েছে। সেটি আরা সজীব হয়ে উঠে কেউ যদি সম্মান জানায়। তবে আমি বহুবছর ধরেই অত্যন্ত নিরবে আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। নিজ জেলা কিশোরগঞ্জের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির জন্যও রয়েছে স্থায়ী কয়েকটি প্রকল্প। এগুলো জানানোর বিষয় নয়। তবে অন্যদেরকে উৎসাহিত করতে কখনো কখনো তা প্রভাব রাখে।
অনুষ্ঠানের আমেজে নৃত্য-গীতে অংশ নেন চন্দ্রা রায়, তানভির শাহিন এবং মায়া এঞ্জেলিনা।