পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও জনস্বাস্থ্যকে কেন্দ্রে করে সমন্বিত ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্যে দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর জোর দিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, রাস্তা বা অবকাঠামো নির্মাণ করা সম্ভব হলেও, একটি সুন্দরবন কিংবা একটি নদী নতুন করে সৃষ্টি করা যায় না। জলবায়ু পরিবর্তন, মহামারী ও পরিবেশগত সংকট আমাদের বারবার মনে করিয়ে দেয়—প্রকৃতির প্রতিটি উপাদান একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। মানুষ প্রকৃতির মালিক নয়, বরং এর অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ান হেলথ কার্যক্রম: সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ কৌশল’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ওয়ান হেলথ কার্যক্রম বাস্তবায়নে অতিরিক্ত প্রক্রিয়াভিত্তিক জটিলতা, আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের ঘাটতি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতা বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে। এসব সীমাবদ্ধতা দূর করতে জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে কার্যকর পরামর্শক কমিটি গঠন এবং প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে সুস্পষ্ট ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
উপদেষ্টা বলেন, জনবল বৃদ্ধি, অনলাইন প্রক্রিয়ার সম্প্রসারণ এবং পরিকল্পনা, জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়ানো সম্ভব। বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি উল্লেখ করেন, অনেক ক্ষেত্রে পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পের বড় অংশ সময় শুধু জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াতেই ব্যয় হয়ে যায়। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে নতুন ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
তিনি আরও বলেন, জনবল বৃদ্ধি, অনলাইন প্রক্রিয়ার সম্প্রসারণ এবং পরিকল্পনা, জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়ানো সম্ভব। বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি উল্লেখ করেন, অনেক ক্ষেত্রে পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পের বড় অংশ সময় শুধু জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াতেই ব্যয় হয়ে যায়। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে নতুন ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ওয়ান হেলথ কেবল একটি কারিগরি কাঠামো নয়; এটি একটি সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের বিষয়। কেন বন্যপ্রাণী রক্ষা করা প্রয়োজন এবং কেন প্রকৃতিনির্ভর উন্নয়ন অপরিহার্য—এসব বিষয় সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। সামাজিক মূল্যবোধ জাগ্রত না হলে কোনো উন্নয়ন উদ্যোগই টেকসই হতে পারে না বলেও মতে দেন তিনি।
সেমিনারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, জনস্বার্থের সুরক্ষা বিবেচনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে একসাথে কাজ করতে হবে।
এসময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাইদুর রহমান,স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মো. আবু সুফিয়ান,প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন,আইইডিসিআর এর পরিচালক মো. জাহিদুল কবিরসহ অনেক উপস্থিত ছিলেন।
উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।