তিন সংস্করণেই দুর্দান্ত খেলে চলেছেন বাবর আজম। গড়ছেন একের পর এক কীর্তি, রেকর্ড। তার নেতৃত্বে পাকিস্তানও আছে ছন্দে। উত্তরসূরিকে নিয়ে মুগ্ধতার শেষ নেই মিসবাহ উল হকের। দেশটির সাবেক অধিনায়ক ও কোচের বিশ্বাস, খেলাটির সব রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার সামর্থ্য আছে বাবরের।
ঘরের মাঠে সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে সিরিজে নিউ জিল্যান্ডকে স্রেফ উড়িয়ে দেয় পাকিস্তান। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ জিতে নেয় ৪-১ ব্যবধানে। প্রথম চার ম্যাচ টানা জিতে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবারের মতো শীর্ষে ওঠে এশিয়ার দলটি। অবশ্য শেষ ম্যাচ হেরে শীর্ষস্থান হারিয়েও ফেলেছে তারা।
রেকর্ডের আরও অনেক পাতায় নাম আছে বাবরের। দা ন্যাশনালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিসবাহ বলেন, পাকিস্তানের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন হয়ে উঠছেন বাবর। অধিনায়ক ও ক্রিকেটার হিসেবে সব রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে বাবর আজম। তিন সংস্করণেই অসাধারণ খেলে, এমন একজন ক্রিকেটার আমরা দীর্ঘদিন পর পেয়েছি। মোহাম্মদ ইউসুফ, ইনজামাম উল হক, সাঈদ আনোয়ার এবং জহির আব্বাসের পর পাকিস্তানের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন সে। তার ব্যাটিংয়ে কৌশল ও সৌন্দর্য এবং সে যে পরিমাণ রান করেছে, তা তাকে বিশ্বের সেরাদের একজন করে তুলেছে।
ভারতের হয়ে অসংখ্য রেকর্ড-কীর্তি গড়েছেন বিরাট কোহলি। মাঝেমধ্যেই তার সঙ্গে তুলনা চলে বাবরের। মিসবাহর মতে, আরও এক দশকের মতো খেলতে পারলে সেসবও ছাড়িয়ে যাবেন বাবর। তিনি বলেন, তার ওয়ার্ক এথিক চমৎকার। সে কঠোর পরিশ্রমী, খেলাটি নিয়ে অনেক বিশ্লেষণ করে ও চাপ সামলাতে পারে। পাকিস্তান ক্রিকেটের গ্রেটদের একজন হওয়ার মতো সব রসদ তার মধ্যে আছে। তার সেই সম্ভাবনা আছে। সে যদি আগামী ৮ থেকে ১০ বছর খেলতে পারে, তাহলে বিরাট কোহলি ভারতের জন্য যা করেছে, তা সে করতে পারবে।
বাবরের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের প্রমাণ মেলে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে। ওয়ানডেতে এখন শীর্ষে তিনি। টেস্টে আছেন পাঁচে, টি-টোয়েন্টিতে তিনে। এখন পর্যন্ত ৪৭ টেস্ট খেলেছেন বাবর। এই সংস্করণে ৯ সেঞ্চুরি ও ২৬ ফিফটিতে ৪৮.৬৩ গড়ে তার রান ৩ হাজার ৬৯৬। ঠিক ১০০ ওয়ানডে খেলে ১৮ সেঞ্চুরি ও ২৬ ফিফটিতে করেছেন ৫ হাজার ৮৯ রান, গড় ৫৯.১৭। ১০৪ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪১.৪৮ গড়ে তার রান ৩ হাজার ৪৮৫, ৩ সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি ৩০টি।