সত্যিই কি সুইডেনে ইসরায়েলি দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা করছে হামাস?

0

গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেখানকার প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলে এই হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি ইসরায়েলের। এরই মধ্যে এই যুদ্ধ ১০০ দিনে পৌঁছেছে। এই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রায় ২৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছে ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

যুদ্ধের এই পরিস্থিতিতে হামাসের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ এনেছে ইসরায়েল। ইহুদিবাদী দেশটির দাবি, সুইডেনে ইসরায়েলি দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা করছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীটি। এর আগে গত মাসে ইউরোপের কয়েকটি দেশ বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারের কথা ঘোষণা করে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে-ডেনমার্ক, জার্মান ও সুইডেন। গত মাসে এই দেশগুলো বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারের কথা জানায়।

ইসরায়েলের এই অভিযোগের বিষয়ে হামাসের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে অতীতে এই স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি বলেছিল, তার নীতি হচ্ছে ইসরায়েল, অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকাতেই কেবল তাদের আক্রমণ সীমাবদ্ধ রাখা। মূলত তারা এমন সমস্ত অঞ্চল আক্রমণ চালাতে চায় যেখানে তাদের লক্ষ্য একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।

এছাড়া স্টকহোমের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও অবশ্য ইসরায়েলের দূতাবাসের সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে তারা বলেছে, “ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে বিদেশি মিশনগুলোকে রক্ষা করার জন্য যে দায়িত্ব ও প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেটিকে সুইডেন খুব গুরুত্ব সহকারে নেয়।”

মোসাদের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, হামাস নেটওয়ার্ক লেবাননের একটি গ্রুপ কমান্ড পোস্ট থেকে এই ধরনের আদেশ দিয়েছে বলে একটি বহু-জাতীয় তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। ওই আদেশের লক্ষ্য ছিল- সুইডেনে ইসরায়েলি দূতাবাসে হামলা, প্যারাগ্লাইডার সংগ্রহ এবং ইউরোপে অপরাধী গোষ্ঠীর সদস্যদের সক্রিয় করা। সূত্র: রয়টার্স, টাইমস অব ইসরায়েল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here