জন এফ কেনেডি, তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট। ১৯৬১ সালে তিনি বিশ্বের বৃহত্তম পরাশক্তি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। কিন্তু বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারেননি তিনি। ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর দেশটির টেক্সাসের ডালাস শহরে সফরে গেলে তিনি আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।
কেনেডি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে মার্কিন সরকারের নিয়োগ করা ওয়ারেন কমিশন ১৯৬৪ সালে তাদের রিপোর্টে বলেছিল, প্রেসিডেন্ট কেনেডিকে হত্যা করেন লী হার্ভি অসওয়াল্ড নামের এক মার্কিন নাগরিক, যিনি একটা সময় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে বসবাস করতেন।
জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ড নিয়ে দশকের পর দশক ধরে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র তত্ত্বের কথা প্রচলিত। তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-কেও দোষারোপ করা হয় এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে। তবে সিআইএ বরবারই এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এরই মধ্যে ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে নতুন মন্তব্য করে তা আবারও সামনে আনলেন কেনেডি পরিবারের সদস্য রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র। তিনি আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী ও নিহত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা।
রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র মন্তব্য করে বলেছেন, “আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ডে সম্ভবত মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ জড়িত।”
একইসঙ্গে তিনি বলেন, মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট এফ কেনেডিকেও ১৯৬৮ সালে হত্যার সঙ্গে সিআইএ জড়িত বলে তার ধারণা।
রবিবার ডাবলিউএবিসি রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র এসব কথা বলেন।
রবার্ট এফ কেনেডি বলেন, অকাট্য প্রমাণ আছে যে, জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ডে সিআইএ জড়িত। তিনি একে সন্দেহের ঊর্ধ্বের বিষয় বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে সিআইএ জড়িত কিন্তু তা ৬০ বছর ধরে গোপন রাখা হয়। জন এফ কেনেডি হত্যাকাণ্ডে সিআইএ’র বিতর্কিত ভূমিকা সম্পর্কে এ পর্যন্ত শত শত লেখা ও কাজ সম্পাদন হয়েছে। সূত্র: ডেইলি মেইল, দ্য টাইমস, ফক্স নিউজ, দ্য হিল, নিউ ইয়র্ক পোস্ট