সত্যিই কি নাইজারে হামলার অনুমতি পেয়েছে ফ্রান্স?

0

সম্প্রতি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পূর্ব আফ্রিকার দেশ নাইজারের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে দেশটির সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তা। ওইদিন থেকেই প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে অবরুদ্ধ রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোম। 

তবে অভ্যুত্থানের পর থেকেই বাজোমকে ছেড়ে দিতে সেনাদের ওপর চাপ দিচ্ছে পশ্চিমারা— বিশেষ করে ফ্রান্স।

সোমবার অভ্যুত্থানকারীদের মুখপাত্র কর্নেল আমাদু আব্দরমানে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এমন অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ফ্রান্সকে দেওয়া হামলার অনুমতিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হাসুমি মাসুদো।

ফ্রান্স অবশ্য এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলে বলেছেন, এটি ‘মিথ্যা’— তবে প্রেসিডেন্ট বাজোমকে এখনো ক্ষমতায় ‘পুনর্স্থাপন’ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি।

মাত্র দুই বছর আগে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন বাজোম। নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণের আগেই তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা হয়। ওই সময় সেনারা এতে ব্যর্থ হলেও দুই বছর পর ঠিকই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।

বাজোমকে অবরুদ্ধ করার দুইদিন পর প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের প্রধান জেনারেল আব্দুররহমান চিয়ানি নিজেকে নাইজারের অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন।

প্রেসিডেন্ট বাজোমের রাজনৈতিক দল পিএনডিএস সোমবার সতর্কতা দিয়েছে অভ্যুত্থানকারীরা নাইজারকে একটি ‘স্বৈরাচারী এবং সর্বগ্রাসী রাষ্ট্রে’ পরিণত করছে।

অভ্যুত্থানের পরপরই দেশটিতে সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সোমবার দেশটির প্রভাবশালী তেল ও খনি মন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিবহণমন্ত্রী এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্র: আল জাজিরা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here