ডিম পুষ্টিগুণসম্পন্ন ও স্বাস্থ্যকর খাবার। সকালের নাশতায় একটি বা দুটি ডিম শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। ডিমে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল ও স্বাস্থ্যকর চর্বি দিনের কাজের শক্তি জোগায় এবং সামগ্রিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মিত নাশতায় ডিম রাখলে ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা—দুটোই বাড়ে।
১. দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখে
ডিমে উচ্চমাত্রার প্রোটিন থাকায় এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সকালে ডিম খেলে দীর্ঘসময় পেট ভরা অনুভূতি থাকে, ফলে অযথা জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা কমে।
২. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়
ডিমে রয়েছে কোলিন, যা মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সকালের নাশতায় ডিম যোগ করলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এবং কাজের কর্মক্ষমতা উন্নত হয়।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার হজম হতে সময় নেয় এবং শরীরের ক্যালোরি খরচ বাড়ায়। এজন্য নিয়মিত ডিম খাওয়া ওজন কমানো বা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ডিমে থাকা ভিটামিন-এ, বি-টুয়েলভ, সেলেনিয়াম শরীরকে রোগ প্রতিরোধক্ষম করে তোলে। যা শীতের সময় ভাইরাস ও সংক্রমণ থেকে রক্ষা দেয়।
৫. হাড় ও পেশি মজবুত করে
ডিমে আছে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে শক্তিশালী করে। পাশাপাশি প্রোটিন পেশি গঠনে সহায়তা করে।
৬. চোখের জন্য উপকারী
লুটেইন ও জিয়াজ্যানথিন নামের দুই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ডিমে পাওয়া যায়, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং বয়সজনিত চোখের সমস্যার ঝুঁকি কমায়।

