গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনের রোডম্যাপও চাই।
বৃহস্পতিবার বিকালে ‘পরিবর্তন সম্ভব, পরিবর্তন চাই’ স্লোগানে ভুরভুরিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে গণসংহতির আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে জনগণের, যেখানে ভোট ও ভাতের অধিকার থাকবে সার্বজনীন। মানুষের যে ধর্মের হোক না কেন, সকলের অধিকার সমান হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ যে ভয়ংকর নির্যাতন চালিয়েছে, তা বলার মতো নয়। সকলের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছিলাম। ভোট ডাকাতি পূর্ব থেকেই চালু ছিল, তা যেন আবার ফিরে আসতে না পারে, সে পথ স্থায়ীভাবে রুদ্ধ করতে হবে। সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে তার কবর রচনা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জমিদারি ব্যবস্থা কায়েম করে। বারবার তারা রাতের ভোটে ক্ষমতায় আসীন হয়েছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য হামলা-মামলা, খুন-গুম—কোনো কিছুই বাদ রাখেনি।
গণসংহতি আন্দোলনের এই সমন্বয়কারী বলেন, যখন সন্তানের ওপর হামলা হলো, তখন সারাদেশের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা রাস্তায় নেমে পড়ল। যার ফলশ্রুতিতে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান হলো। এখন আমাদের ঠিক করতে হবে আমরা কোথায় যাবো! মানুষ এখন নতুন বন্দোবস্ত চায়। প্রত্যেকের শিক্ষার ব্যবস্থা, শিক্ষা শেষে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকের শ্রমের যথাযথ মজুরি প্রদান করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা এয়ারপোর্টে যে হেনস্তার শিকার হন, তা বন্ধে চিরস্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। আমার ভাইয়েরা যখন বিদেশের মাটিতে মারা যান, তখন তাদের লাশ আনতে পদে পদে হেনস্তার শিকার হতে হয়—এর স্থায়ী বন্দোবস্ত চাই। সারাদেশের মানুষ ঠিক করবে সংবিধান সংশোধন কে করবে। এ সময় তিনি বলেন, আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই—এই দুটি প্রক্রিয়া একসঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পূর্বে কোনো কোনো সংস্কার হবে এবং নির্বাচনের পরে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা কোনো কোনো সংস্কার করবেন, সে সিদ্ধান্ত পূর্বেই নিতে হবে। নয়তো নির্বাচনের পরে তা আবার উল্টে যেতে পারে। ৬ মাস হয়ে গেছে, এখনো নির্বাচনের রোডম্যাপ নেই। দেশের মানুষ নির্বাচনের রোডম্যাপ চায়। ঐক্য ছিল, ঐক্য আছে। ঐক্যে ফাটল ধরাতে অনেক চেষ্টা চলছে, আপনারা সাবধান থাকবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবক মো. হান্নান উদ্দিন সরকার, সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসানুজ্জামান টিপু, কেন্দ্রীয় গণসংহতি সভাপতি মণ্ডলের সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, গণসংহতি নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী সমন্বয়কারী শ্রী অঞ্জন দাস, বাঞ্ছারামপুর গণসংহতি সম্পাদক মো. শামীম শিবলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন প্রমুখ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল