গাজীপুরের শ্রীপুরে চুরির আপবাদে হাত-পা বেঁধে গাছে ঝুলিয়ে আরিফুল খান (২০) নামের এক যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতনকারীরা ওই যুবককে দুই-তিন ধরে নির্যাতন করে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। গত বৃহস্পতিবার যুবককে নির্যাতন করা হলেও শুক্রবার (১৭ মার্চ) নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
আরিফুলের বড় ভাই আশরাফুল জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা দুই ভাই বাড়িতে কাজ করছিল। আরিফ কাজ শেষে গোসল করে বাড়িতে শুয়ে ছিল। এসময় পার্শ্ববর্তী ডা. কাইয়ুমের প্রজেক্টের সামনে রাখা একটি গাড়ি থেকে টাকা চুরি হয়। পরে স্থানীয় প্রভাবশালী কায়সারের নেতৃত্বে আরিফুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হাতে-পায়ে দড়ি বেঁধে গাছে ঝুলিয়ে বেধড়ক মারধর করে।
নির্যাতনের শিকার আরিফুল ইসলাম বলেন, সকালের দিকে আমি বাড়িতে রুটি খেয়ে কাজ শেষে ঘরে শুয়ে ছিলাম। কায়সার আমাকে ফোন দিয়ে যেতে বলে। আমি না গেলে বাড়ি থেকে আমাকে ধরে নিয়ে মারে। আমি চুরি করিনি। হাত জোড় করে প্রাণ ভিক্ষা চাইছি। তাতে তাদের মন গলেনি। আমাকে বেঁধে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাকির হোসেন শেখ জানান, আরিফুলকে নির্যাতন করে ফেলে রেখেছে-এমন খবর জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছি। চুরির ভিত্তিহীন অভিযোগে এভাবে মারধর করা উচিত হয়নি।
অভিযুক্ত কায়সার জানান, আরিফুল এলাকার চিহ্নিত চোর। এর আগে তার বিরুদ্ধে বহু চুরির অভিযোগ আছে। সে টাকা চুরি করেছে। তাকে মারলেন কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এলাকায় এসে দেখে যান- সে চোর, চোরকে ধরে কেউ আদর করেনা।
প্রহলাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হক আকন্দ বলেন, শুনেছি কোনও এক ব্যক্তির গাড়ি থেকে টাকা চুরি হয়েছে। তবে ওই যুবক চুরির সাথে জড়িত কিনা জানিনা। এভাবে আইন নিজের হাতে নেয়া ঠিক হয়নি।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুর রহমান বলেন, যুবককে নির্যাতনের বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।