যশোরের চৌগাছায় চলমান বলুহ দেওয়ানের মেলায় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে গত শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পালিত মেয়ে আঁখিমনিকে (১৪) নিয়ে বের হন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দড়িয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মিন্টু সরদার (৩৯)। ট্রেনে যশোর রেলস্টেশনে পৌঁছে তারা আবাসিক হোটেল বৈকালী’র ডি-৫ নম্বর রুমে ওঠেন। সেখানে আঁখিমনিকে ধর্ষণ করেন মিন্টু।
ওইদিন সন্ধ্যারপর হোটেল ছেড়ে যশোর রেল স্টেশনের পাশে একটি ঝোপের মধ্যে আঁখিমনিকে আরেক দফা ধর্ষণ করেন তিনি। পরে রাত ১১টার দিকে সীমান্ত এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেনে আঁখিমনিকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পর আঁখিমনিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন মিন্টু। এরপর যশোর সদর উপজেলার সাতমাইল এলাকায় আঁখিমনির মরদেহ ট্রেন থেকে নিচে ফেলে দেন তিনি। পুলিশের কাছে গ্রেফতার হওয়ার পর এভাবেই আঁখিমনিকে হত্যার বিবরণ দেন মিন্টু সরদার।
আঁখিমনি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দড়িয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যারয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, আঁখিমনির পায়ের একজোড়া নুপুর (পায়েল) দুইটি সিগারেটের প্যাকেটে ভরে মিন্টু সরদার তার বসতঘরের পাশে আবর্জনার মধ্যে পুঁতে রেখেছিল। মামলার আলামত হিসেবে এ নুপুর ও হোটেল বৈকালীর রেজিস্ট্রার খাতার সংশ্লিষ্ট পাতা জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দিয়ে মিন্টু সরদারকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।