ঈদ জামাতের জন্য এখন প্রস্তুত কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। মুসল্লিদের নিরাপত্তায় এবারও থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা। এবার এ ঈদগাহের জন্য এটি ১৯৬তম ঈদুল আজহার জামাত। সকাল ৯টায় শুরু হবে ঈদ জামাত।
ঈদ জামাতের জন্য মাঠের প্রস্তুতির পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ঢেলে সাজানো হয়েছে। ওজুখানা, টয়লেট ও পানির লাইন সংস্কার, মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন টানানো ও মাইক স্থাপনসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বসানো হয়েছে ৫০টি সিসি ক্যামেরা।
ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ঈদ জামাত আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও ঈদজামাত নির্বিঘ্ন করতে যা যা করার সবই করা হয়েছে। নিয়মিত ইমাম ফরিদ উদ্দিন মাসউদ কোন কারণে আসতে না পারলে বিকল্প ইমামের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, ২০১৬ সালের জঙ্গি হামলাকে মাথায় রেখে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তার কোন ঘাটতি হবেনা।
১৮২৮ সনে ঈদজামাতের মধ্য দিয়ে শোলাকিয়া ঈদগাহের গোড়াপত্তন হয়। জনশ্রুতি আছে, শাহ সুফি সৈয়দ আহমদের ইমামতিতে প্রথমবার ঈদের জামাতে ‘সোয়া লাখ’ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। আবার কারও মতে, এ পরগণায় খাজনা আদায়ের পরিমাণ ছিল সোয়া লাখ টাকা। সে কারণে এর নামকরণ হয় শোয়ালাখিয়া থেকে শোলাকিয়া। ১৯৫০ সালে শহরের হয়বতনগরের দেওয়ান মান্নান দাদ খাঁ (মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ষষ্ঠ বংশধর) ঈদগাহের জন্য ৪ দশমিক ৩৫ একর জমি শোলাকিয়া ঈদগাহে ওয়াকফ করেন। পরে আরও কিছু জমি এ ঈদগাহের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বর্তমানে প্রায় সাত একর জমির ওপর এ ঈদগাহের অবস্থান।