বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের গ্রেড বৈষম্য দূরীকরণসহ তাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ২০১৮ সালের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত হয়ে সেটি বাস্তবায়িত হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে দেশের চার লক্ষ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনের গ্রেড ১৬ থেকে গ্রেড ১৩ এ উন্নীত করা হয়েছে। জাতির পিতার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো সরকার প্রধান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধির এরকম উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
চাঁদপুরের কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের অডিটোরিয়ামে কচুয়া উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন আয়োজিত ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অবদান’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ এসব কথা বলেন।
ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, ২০১৮ এর জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশের চার লক্ষ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ গোটা শিক্ষক সমাজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার তাদেরকে ভুলে যায়নি। গ্রেড বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যে দাবি ছিল, সেটি আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষকদের অনুকূলে বাস্তবায়ন করেছে। আওয়ামী লীগ যে ওয়াদা করে, সে ওয়াদা সবসময় প্রতিপালন করে। ভবিষ্যতেও শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত কোনো বিষয় থাকলে সেটি আওয়ামী লীগ অতীতের ন্যায় বিবেচনা করবে ইনশাল্লাহ। আমাদের বিশ্বাস, শিক্ষক সমাজসহ সমগ্র জাতির বৃহত্তর স্বার্থে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আবারও জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাকে আগামী নির্বাচনে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন করবেন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কচুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আইয়ুব আলী পাটোয়ারী, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ, কচুয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাজমুল আলম স্বপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউদ্দিন হাতেম, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, পালাখাল মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিব মজুমদার জয়, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কচুয়া উপজেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি মো. আবু মুসা, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কচুয়া উপজেলা শাখার সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, নলুয়া দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জামাল হোসেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কচুয়া উপজেলা শাখার সহসভাপতি বিজন কুমার সরকার, সহ সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি মহিউদ্দিন মিলন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনম নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলী আকবর, দপ্তর সম্পাদক উজ্জ্বল কৃষ্ণ মজুমদার, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, সুবিদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক ফারজানা আক্তার, ১০নং গোহট উত্তর ইউনিয়ন শিক্ষক নেতা মো. ফজলুল কাদের, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সরকার প্রমুখ। এছাড়া বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয়, বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার শিক্ষক নেতৃবৃন্দের ২০০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এই মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের কেন্দ্রীয় নেতা রুমী বাগদাদী। শিক্ষক নেতৃবৃন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের গ্রেড বৈষম্য নিরসনে যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের নানা স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ভবিষ্যতেও শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত কোনো বিষয় থাকলে সেটি অতীতের ন্যায় বিবেচনা করবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতৃবৃন্দ আবারও শেখ হাসিনাকে নিরঙ্কুশ ভাবে সমর্থন করবেন।