বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে আলোচনা শুরু করার জন্য ওয়াশিংটনে প্রতিনিধি পাঠাবে মালয়েশিয়া। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির ওপর ২৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন।
শুল্কের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য পুনর্বিবেচনার সীমিত সুযোগ থাকতে পারে, তা স্বীকার করে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অ্যাডজাস্ট করার এখনও সুযোগ রয়েছে।
একটি বিনিয়োগ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মেগাফোন কূটনীতিতে বিশ্বাস করি না।
আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, আলোচনা শুরু ও আমাদের নীরব কূটনীতির অংশ হিসেবে আমরা আসিয়ান (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংস্থা)-এর সহকর্মীদের সঙ্গে আমাদের কর্মকর্তাদের ওয়াশিংটনে পাঠাব।
আসিয়ানের ১০টি সদস্য রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রকে প্রধান রফতানি বাজার হিসেবে মনে করে। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ফলে দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মালয়েশিয়ার বাণিজ্য দীর্ঘদিন ধরে পারস্পরিক লাভের একটি মডেল। আমাদের রফতানি কেবল প্রবৃদ্ধিই নয় বরং যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে উচ্চমানের কর্মসংস্থানকে সমর্থন করে।
এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক উভয় দেশের জন্য ভালোভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বর্তমান পদক্ষেপে সবার ক্ষতি হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আসিয়ান সদস্য দেশ ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তাছাড়া পশ্চিমা ব্র্যান্ডগুলোর জন্য কম দামের পোশাকের একটি প্রধান উৎপাদক কম্বোডিয়া ৪৯ শতাংশ শুল্ক আরোপের শিকার হয়েছে।
ট্রাম্পের সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপের শিকার অন্যান্য আসিয়ান দেশগুলো হল লাওস (৪৮ শতাংশ), মিয়ানমার (৪৪ শতাংশ), থাইল্যান্ড (৩৬ শতাংশ), ইন্দোনেশিয়া (৩২ শতাংশ)।
আনোয়ার জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি এশিয়া, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার প্রধান বাজারগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বৈচিত্র্যময় এবং জোরদার করা অব্যাহত রাখতে হবে। সূত্র: পেনিনসুলা কাতার, ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে, এএফপি