শুধু জরিমানায় পার আলেশা ইভ্যালি

0

১০ থেকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে ইভ্যালি, আলেশা মার্টের মতো শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক ই-কমার্স কোম্পানিগুলো পার পেয়ে যেতে পারে। ই-কমার্স বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে এমন একটি আইন হচ্ছে, যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান থাকছে শুধু ‘আর্থিক জরিমানা’।

খসড়া আইনটির একটি ধারায় বলা হয়েছে, অনলাইনে কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রির জন্য অসত্য বা অতিরঞ্জিত বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতা বা গ্রাহকদের প্রতারিত করলে প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং পরবর্তীতে প্রতিবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে। এ জরিমানা করবে ডিজিটাল বাণিজ্য কর্তৃপক্ষ।

আগের আইনের খসড়ায় যেসব শাস্তির বিধান ছিল : ‘ডিজিটাল বাণিজ্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য বিক্রি করলে অনলাইন বিক্রেতাকে দুই বছরের কারাদন্ড অনাদায়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড; নির্ধারিত সময়ে পণ্য বা সেবা সরবরাহ না করলে মূল্যের তিনগুণ জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড; নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে তিন বছর কারাদন্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা; অনুমতি ব্যতীত ডিজিটাল বা গিফট কার্ড, ওয়ালেট, ক্যাশ ভাউচার করলে ছয় মাস কারাদন্ড বা ২ লাখ টাকা জরিমানা; ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে লটারি আয়োজন করলে দুই বছর কারাদন্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছিল।

ওয়েবসাইটে আপলোড আইনের খসড়ায় যা আছে : নিবন্ধন ব্যতীত পণ্য বিক্রি করলে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা; চুক্তি অনুযায়ী গ্রাহককে পণ্য না দিলে পণ্য মূল্যের অর্থ ফেরত অথবা সেবামূল্যের দ্বিগুণ জরিমানা; নিষিদ্ধ পণ্য অনলাইনে বিক্রির জন্য ১ লাখ টাকা জরিমানা; অসত্য তথ্য দিয়ে পণ্য বিক্রি করলে ১০ থেকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা; অনলাইন কেনাকাটায় কর্তৃপক্ষের তদারকিতে বাধা দিলে ১ লাখ টাকা জরিমানা, কর্তৃপক্ষের চাহিত তথ্য নির্ধারিত সময়ে না দিলে বা তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে ৫ লাখ টাকা জরিমানা; এ আইনের অধীন পেমেন্ট গেটওয়ে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের চাহিত তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানালে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, অনলাইন বিক্রেতার ওয়েবসাইটে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা না রাখলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here