শীতের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘরে ঘরে এখন সর্দি-কাশি আর জ্বরের প্রকোপ। এই সময় নিজেকে সুস্থ রাখতে কেবল গরম কাপড় পরলেই হবে না, বরং ভেতর থেকে শরীরকে উষ্ণ ও রোগমুক্ত রাখা জরুরি। বিশেষ করে সকালের খাবারে যদি সঠিক পুষ্টি থাকে, তবে তা সারা দিনের কাজের শক্তি জোগানোর পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও শক্তিশালী করে।
শীতের সকালে শরীর গরম রাখতে এবং শক্তি জোগাতে এমন কিছু খাবার খাওয়া উচিত, যা পুষ্টিকর এবং শরীরকে উষ্ণ রাখে। তাই শীতের সময় সকালবেলার প্রাতে রাখুন কয়েকটি বিশেষ খাবার।
হলুদ-মিশ্রিত গরম দুধ : এক গ্লাস গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করুন। হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শীতকালীন সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
গরম খিচুড়ি বা পায়েস: শীতের সকালে ধোঁয়া ওঠা খিচুড়ি বা নতুন গুড়ের পায়েস শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে চমৎকার কাজ করে। এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং শরীরে শক্তি জোগায়।
আদা-মধুর চা: শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখতে আদা ও মধুর চায়ের বিকল্প নেই। এটি গলার খুসখুসে ভাব দূর করে এবং ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচায়।
পুষ্টিকর গরম স্যুপ: সবজি বা মুরগির গরম স্যুপ শরীরকে আর্দ্র রাখে এবং পুষ্টির চাহিদা মেটায়। এটি হজমেও বেশ সহায়ক।
ড্রাই ফ্রুটস ও খেজুর: কাঠবাদাম, আখরোট এবং খেজুর প্রাকৃতিক শক্তির আধার। প্রতিদিন সকালে কয়েক দানা বাদাম খেলে শরীরের মেটাবলিজম ঠিক থাকে এবং শরীর গরম থাকে।
গুড় ও রুটি: গুড়ে প্রচুর আয়রন থাকে যা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। গরম রুটির সাথে ঝোলা গুড় বা নারকেল মেশানো গুড় শীতের সকালের অন্যতম সেরা খাবার।
ডিম: প্রোটিনের সেরা উৎস হলো ডিম। একটি সেদ্ধ ডিম বা ওমলেট শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং পেশির শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ওটস বা পোরিজ: যারা হালকা অথচ পুষ্টিকর কিছু খুঁজছেন, তারা গরম দুধ দিয়ে ওটস বা পোরিজ খেতে পারেন। এটি আলস্য কাটিয়ে শরীরকে সতেজ রাখে।
তিলের খাবার ও পিঠা: শীত মানেই পিঠাপুলির উৎসব। তিলের নাড়ু বা তিল দেওয়া পিঠা শরীরে তাৎক্ষণিক উষ্ণতা এনে দেয়।
মশলাদার পানীয়: চা বা দুধে সামান্য এলাচ, দারুচিনি ও লবঙ্গ মিশিয়ে নিন। এসব মশলা প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরকে গরম রাখতে কার্যকর।
সকালের এই খাদ্যাভ্যাস আপনার শীতের দিনগুলোকে করবে আরও প্রাণবন্ত এবং নিরাপদ। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান এবং শীতের আমেজ উপভোগ করুন সুস্থভাবে।

