শীতের সময়টা যেন অনেক প্রতীক্ষিত সবার কাছেই। তারপরও শীতের আগমন মানেই একটু বাড়তি যত্ন, বাড়তি চিন্তা। শীতের কাপড় থেকে শুরু করে ত্বক, চুল ও শারীরিক সুস্থতা নিয়ে আমাদের অনেক ভাবতে হয়। কারণ শীতের শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য ত্বক স্বাভাবিক আর্দ্রতা দ্রুত হারিয়ে ফেলে এবং ত্বক ফেটে যায়। শীতের সময় চুলে খুশকির উপদ্রবও বেড়ে যায়। আমাদের প্রত্যেকের ত্বকের ধরন বা বৈশিষ্ট্য আলাদা। ভিন্ন ভিন্ন এই ত্বকের যত্ন নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পুষ্টিকর খাবার।
আমরা সবাই জানি আমাদের শরীরের অঙ্গগুলোকে সুন্দর, সুস্থ এবং সচল রাখতে একমাত্র ভূমিকা পালন করছে পুষ্টিকর সুষম খাবার। আমরা যা খাই, তার প্রতিফলন দেখতে পাই আমাদের দেহের মধ্যেই।
যেসব উপাদান ত্বকের যত্নে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো হলো-
♦ ভিটামিন ‘সি’ যুক্ত খাবার। এটি একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের জন্য উপকারী।
টক ফল, সবুজ শাক-সবজি এবং কাঁচামরিচ ইত্যাদি ভিটামিন ‘সি’-এর উৎস।
♦ ভিটামিন ‘ই’ ত্বক এবং চুলের জন্য দারুণ উপকারী পুষ্টি উপাদান। কাঠবাদাম বা অলিভ অয়েল থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘ই’ পাওয়া যাবে।
♦ ওমেগা-৩-ও একটি গুরুত্বপূর্র্ণ পুষ্টি উপাদান ত্বকের জন্য। সামুদ্রিক মাছ, বাদাম ইত্যাদি থেকে আমরা ওমেগা-৩ পেতে পারি।
♦ বিটা ক্যারোটিন একটি পুষ্টি উপাদান যা ত্বকের জন্য উপকারী। হলুদ সবজি এবং ফল থেকে আমরা বিটা ক্যারোটিন পেয়ে থাকি।
♦ পানি অনেক বড় ভূমিকা পালন করে ত্বককে সতেজ এবং সুন্দর রাখতে। প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি গ্রহণ করা উচিত। সেক্ষেত্রে অবশ্যই নিজের শারীরিক অবস্থা বুঝে পানির পরিমাপ ঠিক করতে হবে।
শীতে চুল এবং ত্বকের যত্নে অবশ্যই প্রতিদিন কিছু কিছু খাবার খেতে হবে। মনে রাখতে হবে এক দিনের খাবার প্রতিদিনের চাহিদা পূরণ করবে না!
শীতে ত্বকের যত্নে প্রতিদিনের টিপস
♦ শীতকালীন সবজির সালাদ করে খান প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে।
♦ সকালে মধুর সঙ্গে আদা কুচি দিয়ে খান ১ চামচ।
♦ বাদাম খান প্রতিদিন ৪০ গ্রাম।
♦ ভাতের সঙ্গে লেবু খান।
♦ কমলা, পেয়ারা, কালো আঙ্গুর, প্রতিবার খাবারের পর খান একটি করে।
♦ বেদানার রস ৩ চামচ খান দিনে একবার।
♦ দই খান দুপুরের খাবারের পর একবার।
♦ মধু চুলে এবং মুখে দিতে পারেন। দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে কিছুক্ষণ রেখেই।
♦ ঠান্ডা পানি না খেয়ে কুসুম গরম পানি খান প্রতি বেলায়।
♦ ঘুমান সময়মতো।
♦ প্রতিদিন একটি করে সেদ্ধ ডিম খান। কারণ ডিমে ক্যারোটিনয়েড লুটিন থাকে, যা লাইকোপিন ইউভি ক্ষতি থেকে আমাদের চামড়া রক্ষা করে।
লেখক-
সামিয়া তাসনিম, পুষ্টিবিদ।