শীতে গরম পানিতে গোসল

0

খুব বেশি শীতে গোসল কাতরতা তৈরি হয়। অনেকে ঠাণ্ডা পানির বদলে গরম পানি দিয়ে গোসল করেন।  

আজ আমরা আলোচনা করবো শীতকালে গরম পানিতে গোসল ভালো না খারাপ- সেটি নিয়ে। আগে মনে রাখতে হবে, প্রতিদিন গোসল না করা শরীরের উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি ডেকে আনে।

বিশেষজ্ঞরাও এ মতে মত দিয়েছেন। তবে যাদের ঠাণ্ডার সমস্যা আছে, তাদের ভোরে গোসল করা থেকে বিরত থাকতে বলছেন তারা। যদিও সকাল সকাল গোসল করলে এড়ানো যায় নানা সমস্যা। তবে অবশ্য, সকাল ১০টার মধ্যে গোসল করলেও শরীর ও মন উৎফুল্ল থাকে বলেও জানিয়েছেন তারা।  

আয়ুর্বেদ বিজ্ঞানে বলা হয়েছে, গোসলের সময় শরীর গরম পানি দিয়ে ধুলেও মাথায় ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে। কারণ, গরম পানি আমাদের চুল ও চোখের জন্য ক্ষতিকর। আপনি যদি সুস্থ আর সুঠাম দেহের হন তবে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করুন। না হলে হালকা গরম পানিই ঠিক আছে।  

যাদের লিভারে সমস্যা, বদহজম, হাত-পা, শরীর জ্বালা সমস্যা আছে, তাদের ঠাণ্ডা পানিতে গোসলের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অ্যালার্জি, কাশি, ঠাণ্ডা, পায়ের ব্যথা, সাইনাস, বাত এধরনের রোগ থাকলে গরম পানিতে গোসল করুন।

শীত এলেই অনেকের ঠাণ্ডা লাগা ও জ্বরের সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যা দূর করতে গরম পানিতে গোসল উপকারী। শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য কুসুম গরম পানি ভালো। পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব যাদের, তারা ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে বেশি উপকার পাবেন। সকালে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করা শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু রাতে বাড়ি ফিরে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে গরম পানির জুড়ি নেই। নিয়মিত ব্যায়াম করার পর গরম পানিতে গোসল করতে পারেন।  

নিয়মিত শরীরে তেল ম্যাসেজ করে আধা ঘণ্টা পর গোসল করার অভ্যাস করুন। ভালো ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য গোসলের পানিতে কয়েকটি নিম পাতা দিয়ে রাখুন।

মনে রাখতে হবে, অসহনশীল গরম পানি দিয়ে গোসল করা যাবে না। এটি আপনার ক্ষতি করবে বেশি। শরীর আরাম পায় পানিটা সেভাবে গরম রেখে গোসল করতে হবে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here