শীতে ক্লান্তি দূর করতে খাবেন যেসব খাবার

0

ক্লান্তি একটি সাধারণ সমস্যা, এটি সরাসরি আমাদের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত। আমরা যে খাবার গ্রহণ করি তা কার্যকরীভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং শক্তি সরবরাহ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সঠিক খাদ্য বেছে নেওয়া জরুরি।

শীতের সময়ে আমরা একটু বেশিই ক্লান্তি অনুভব করি। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো এসময়ে আমাদের ক্লান্তি দূর করতে কাজ করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

চর্বিহীন প্রোটিন

মুরগির মাংস, ডিম, চর্বিযুক্ত মাছের মতো খাবার এবং উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন যেমন লেগুম এবং টোফু পেশী ভর বজায় রাখতে সাহায্য করে, অপুষ্টি প্রতিরোধ করে, এবং ক্লান্তি কমিয়ে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি দেয়।

ওটস

এই সুষম প্রাতঃরাশ শরীরকে জ্বালানি দেয় এবং বিপাক প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। ওটস ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা দীর্ঘস্থায়ী শক্তি সরবরাহ করে এবং রক্তে শর্করার স্পাইক এবং ক্র্যাশ প্রতিরোধ করে। ফলে ক্লান্তি দূরে থাকে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, ওটস, কুইনো বা ছোলার প্যানকেক বেছে নিতে পারেন।

বাদাম ও বীজ

এগুলো স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা টেকসই শক্তির একটি সমৃদ্ধ উৎস। শক্তি বৃদ্ধির জন্য আপনার ডায়েটে বাদাম, কাজু, চিয়া বীজ বা ফ্ল্যাক্সসিড যোগ করুন।

গরম পানি ও লেবু

এক গ্লাস গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে আপনার সকাল শুরু করুন। এটি হজমে সাহায্য করে, বিপাক বাড়ায় এবং প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে। অতিরিক্ত প্রদাহ বিরোধী সুবিধার জন্য এক চিমটি হলুদ যোগ করুন।

অপ্রক্রিয়াজাত খাবার

সম্পূর্ণ, অপ্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন ফল, শাক-সবজি, লেবু এবং বাদাম বেছে নিন। এগুলো শরীরকে জ্বালানী দিতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করবে এবং প্রতিরোধে সহায়তা করবে। উচ্চ প্রক্রিয়াজাত খাবারের কারণে শক্তি ক্র্যাশ হয়।

কলা

পটাসিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ কলা একটি প্রাকৃতিক শক্তি বৃদ্ধিকারী খাবার। এটি সারা দিন শক্তির মাত্রা বজায় রাখার জন্য একটি দুর্দান্ত। তাই নিয়মিত আপনার খাবারের তালিকায় কলা রাখুন।

ভেষজ চা

ভেষজ চা দিয়ে আপনার দিন শেষ করুন। ঘুমানোর আগে এক কাপ ক্যামোমাইল বা পেপারমিন্ট চা শিথিল করতে সাহায্য করতে পারে, হজমের উন্নতি করতে পারে এবং আরও ভালো ঘুম আনতে পারে। এটি আপনাকে সতেজ হতে এবং সামনের দিনের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করবে।

পানি

হাইড্রেটেড থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি শরীরের শক্তি-উৎপাদন প্রক্রিয়া সহজতর করতে সাহায্য করে, অলসতা এবং ক্লান্তি প্রতিরোধ করে। শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে এবং শারীরিক কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য সঠিক হাইড্রেশন অপরিহার্য। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here