শীত এলেই খাবার নিয়ে নানা রকম ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে পড়ে। তার মধ্যে অন্যতম প্রচলিত একটি হল-শীতকালে শসা খেলে ঠান্ডা-কাশি হয়। কিন্তু এই ধারণার পেছনে আদৌ কতটা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
শসায় প্রায় ৯৫ শতাংশই পানি। স্বভাবগতভাবে এটি শরীরকে ঠান্ডা অনুভূতি দেয়। তাই শীতকালে অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা শসা খেলে সংবেদনশীল মানুষের ক্ষেত্রে নাক দিয়ে পানি পড়া, হালকা কাশি বা গলা বসে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাদের সাইনাস, অ্যালার্জি বা ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বেশি, তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি তুলনামূলকভাবে বেশি অনুভূত হয়।
তবে মনে রাখতে হবে, শসা নিজে কোনোভাবেই ঠান্ডা বা কাশির কারণ নয়। এটি কোনো জীবাণু বহন করে না। মূলত শসার অতিরিক্ত পানি শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে সাময়িক অসামঞ্জস্য তৈরি করতে পারে, যাকে অনেকেই ঠান্ডা লাগা বলে মনে করেন।
পুষ্টিগুণের দিক থেকেও শসা অবহেলার নয়। এতে রয়েছে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শসা হজমে সহায়তা করে, শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং ত্বকের জন্যও উপকারী। এ ছাড়াও শসা ওজন কমাতে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রোধে সহায়ক।
তবে, শীতকালে কিছু সতর্কতা মানলে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। যেমন-
- অতিরিক্ত শসা না খাওয়া
- রাতে শসা এড়িয়ে চলা
- কাঁচা না খেয়ে হালকা রান্না বা স্যুপে ব্যবহার করা
- আদা, গোলমরিচ বা লেবুর সঙ্গে খাওয়া

